শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন, বাংলার দুই জেলাতে নতুন পরিকল্পনা তৃণমূলের

শ্রমিকদের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতেই এবার তৈরি হবে সংগঠনের রূপরেখা, জানালেন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন,  বাংলার দুই জেলাতে নতুন পরিকল্পনা তৃণমূলের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: লক্ষ্য উত্তরবঙ্গের চার জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। চা-বলয়ের ভোটে সাফল্য পেতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে চা-শ্রমিক সম্মেলন। বিশেষ নজর জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। 

আলিপুরদুয়ারের চা-বলয়ে ধস নেমেছে তৃণমূলের ভোটে। তাই প্রশাসনিক স্কীমের পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক লড়াইয়েও। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে আজ বক্তব্য রাখবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। শনিবার বিভিন্ন চা-শ্রমিকদের অসুবিধার কথা শুনছে নেতৃত্ব। এই প্রথম শুধুমাত্র চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে সমাবেশ করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

 জানা গিয়েছে, রবিবার মালবাজারে অভিষেকের সভা হবে। তার আগে দলের শ্রমিক সংগঠন নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে সম্মেলন হয়েছে। সেখানে শ্রমিকদের কথা শুনলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শ্রমিকদের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতেই এবার তৈরি হবে সংগঠনের রূপরেখা, জানালেন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। 

এদিন তিনি বলেন, ''উত্তরের চা-শ্রমিকরা এই সম্মলনে উপস্থিত থাকবেন। হলদিয়ার মতই থাকবে কাচের বয়াম। জেলাভিত্তিক যে প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন তাঁদের মধ্যে যাঁরা বলতে ইচ্ছুক তাঁরা কাগজে নাম লিখে বয়ামে জমা দেবেন। লটারি করে নাম নির্বাচন করা হবে। নেতৃত্ব যাঁরা তাঁরা কিছু কথা বলবেন এরপর বাকি গোটা দিনই সম্মেলনের প্রতিনিধিরা বলবেন।''

তিনি আরও বলেন,  ''রবিবার এই সম্মেলনের নির্যাস নিয়েই চা-শ্রমিকদের এ-যাবৎকালের বৃহত্তর সমাবেশে আলোচনা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কালচিনি এবং নকশালবাড়িতে চা-শ্রমিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে কর্মসূচি। সেই সম্মেলনেও চা-শ্রমিকদের সুবিধা, অসুবিধা প্রতিটি বিষয় তুলে ধরা হয়। বাংলার বুকে চা শ্রমিকদের নিয়ে এই সভা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। বাম জমানায় ও পরবর্তীতে বিজেপি শ্রমিকদের প্রলোভিত করেছে। কিন্তু কোনওভাবেই তাদের হাতে ন্যায্য পাওনা পৌঁছে দেয়নি। 

আলিপুরদুয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত সংখ্যা ৬৬। এর মধ্যে,তৃণমূল কংগ্রেস ৪৩, বিজেপি ৯, বাম ১, কংগ্রেস ১, অন্যান্য ১২ আসন। আলিপুরদুয়ার পঞ্চায়েত সমিতি ৬। ২০১৮ ফল অনুযায়ী, তৃণমূল ৫, বিজেপি ১। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ ১৮ সংখ্যা এর মধ্যে, তৃণমূল ১৭, বিজেপি ১। জলপাইগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত সংখ্যা ৮০। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৬৯,বিজেপি ৫, বাম ১ ও অন্যান্য ৫ আসন পেয়েছে।

পঞ্চায়েত সমিতি সংখ্যা ৭। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৭ আসনে।  জেলা পরিষদ সংখ্যা ১৯। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ১৯ আসনেই জয়ী হয়েছিল। যদিও লোকসভায় ফল খারাপ হয়। খারাপ ফল হয় বিধানসভাতেও। আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক জানিয়েছেন, " যে ফল খারাপ হয়েছিল তাতে নিশ্চিত আমাদের দুর্বলতা ছিল। সেটা কাটিয়েই ঘরে ঘরে পৌঁছানোর কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি।"