ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, স্বস্তির বার্তা বারাসত মেডিক্যালের সুপারের

বারাসাত হাসপাতালে ৫টি অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর জন্য বিশেষ শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেখানে ভেন্টিলেশন সহ সব রকম ব্যবস্থা আছে

ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, স্বস্তির বার্তা বারাসত মেডিক্যালের সুপারের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বসন্তের শুরুতেই রাজ্যজুড়ে তীব্র হচ্ছে অ্যাডিনো আতঙ্ক। নিউমোনিয়া আর অ্যাডিনোভাইরাসের জোড়া ছোবলে বাংলায় এখনও পর্যন্ত ১৪টি শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এরই মধ্যে বুধবার অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে সতর্কবার্তা দিলেন বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার। 

বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত একজনেরও অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়নি। বর্তমানে হাসপাতালে ৫২ জন রোগী জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে ১১ জন অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে তাঁরা প্রত্যেকেই বর্তমান বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সুপার নিজে সেই সব রোগীর নজরদারি চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি জানান এইসময় আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এইধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে শিশুরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।

বারাসাত হাসপাতালে ৫টি অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর জন্য বিশেষ শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেখানে ভেন্টিলেশন সহ সব রকম ব্যবস্থা আছে। এই ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এলে তাদেরকে প্রধানত রেফার করা হচ্ছে না। হাসপাতালে রেখেই তাঁদের সঠিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে ছাড়া হচ্ছে। যদি কাউকে একান্তই রেফার করা হয় তাহলে কলকাতার সেই হাসপাতালে কথা বলে শয্যা ব্যবস্থা করে রেফার করা হচ্ছে, যাতে সেই রোগী কে নিয়ে যাওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

এদিকে ৩ দিনের বেশি জ্বর, গলা ব্যাথা, সর্দিকাশি সহ এইসব উপসর্গ থাকলে সেই শিশুকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা না করিয়ে তাঁদের কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কোনও রকম উপসর্গ হলে নিজেরা চিকিৎসা না করে কোন চিকিৎসকের অবশ্যই যেন কোন পরামর্শের নেয়।জেলায় বেশ কিছু মৃত্যুর খবর শোনা গেলেও বারাসত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনো পর্যন্ত কোন মৃত্যু ঘটেনি বলেই জানিয়ে দেন বারাসত হাসপাতালে সুপার সুব্রত মন্ডল।