গ্রেফতার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী, ইডির নজরে আরও রাইস মিল

প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাল ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন...

গ্রেফতার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী, ইডির নজরে আরও রাইস মিল
ঝাড়গ্রামের একটি রাইস মিলে ইডি অভিযান

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বর্তমান বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পর এবার রাজ্যের বিভিন্ন রাইস মিলে হানা দিল বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি। সোমবার দীনেন রায়ের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের এই কমিটি ঝাড়গ্রাম জেলার শালবনির একটি নতুন রাইস মিলে হানা দেয়। বিধানসভার এই স্ট্যান্ডিং কমিটি জানিয়েছে, আগামী দু'দিন জঙ্গলমহলের দুটি জেলায় তারা রাইস মিলগুলি পরিদর্শন করবেন। সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলা পরিদর্শনের পর মঙ্গলবার তারা পুরুলিয়া জেলায় যাবেন।

প্রভাবশালী ব্যবসায়ী তথা একাধিক রাইস মিল এবং আটাকলের মালিক বাকিবুর রহমান এবং রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে রেশন দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই গ্রেফতারের পর রেশন দুর্নীতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশনের চাল ভাঙানোর নামে সরকারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২০১৭-১৮ সালে রাজ্যের মোট ১৬ টি চালকল মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল খোদ খাদ্য দফতর। 

প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাল ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।উল্লেখ্য, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্য মন্ত্রী থাকার সময় এই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তাঁর থাকাকালীনই এই তদন্ত মাঝপথেই থমকে যায়। এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন তদন্ত থমকে গিয়েছিল? জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এই দুর্নীতিতে কোনো জড়িত থাকার সম্ভাবনা আছে কিনা? এবং খাদ্য দফতরের তদন্তের দুর্বলতার কারণেই কি এই দুর্নীতির সুযোগ হয়েছিল? 

বিধানসভার এই স্ট্যান্ডিং কমিটির হানাকে রেশন দুর্নীতির তদন্তের একটি অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কমিটির দাবি  এই তদন্তের উদ্দেশ্য হল রাজ্যের রাইস মিলগুলির বৈধতা এবং গুণগত মান নিশ্চিত করা। তবে বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, এই তদন্ত আসলে রেশন দুর্নীতির মূল হোতাদের আড়াল করার একটি কৌশল।রাজ্যে রেশন দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছে। বিরোধী দলগুলির দাবি, রাজ্য সরকারের রেশন দুর্নীতি চলছে। রাজ্য সরকার অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।