Ration Scam: ব্যর্থ নির্দোষ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা! বাড়ল ED হেফাজতের মেয়াদ বালুর

সোমবার ছিল ইডি হেফাজতের শেষদিন। এদিন আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর আদালতে পেশ করা হয় মন্ত্রীকে। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর সময় মুখ খোলেন জ্যোতিপ্রিয়। কী বললেন তিনি? পড়ুন...

Ration Scam: ব্যর্থ নির্দোষ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা!  বাড়ল ED হেফাজতের মেয়াদ বালুর

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সময়টা খারাপ যাচ্ছে বালুর (Jyotipriyo Mallick)। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যর্থ হলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। আরও ৭দিন ED হেফাজতেই থাকতে হবে বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইডির দুয়ারে থাকবেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। সোমবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আলিপুর ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে আগামী আরও ৭দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। গত মাসের শেষের দিকে রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। 

সোমবারই ছিল ইডি হেফাজতের শেষদিন। এদিন আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর আদালতে পেশ করা হয় মন্ত্রীকে। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর সময় মুখ খোলেন জ্যোতিপ্রিয়। বলেন, ''ভালো নেই আমি। যা করেছে এরা অন্যায়, অনৈতিক কাজ করেছে।''  মুক্তির বিষয়ে প্রায় একশো শতাংশ আত্মবিশ্বাসের সুর তাঁর গলায়। বলেন, ''কোর্ট আমাকে নিশ্চয়ই মুক্তি দেবে।'' নিজেকে আরও একবার নির্দোষ দাবি করে বলেন, ''আমি নির্দোষ। আমি নির্দোষ। আমি নির্দোষ।'' 

এদিকে,  দিন শেষে দেখা গেল, জ্যোতিপ্রিয় আত্মবিশ্বাসী থাকলেও আদতে লাভ হল না। এদিন আদালতে জামিনই চাননি মন্ত্রী।সওয়াল-জওয়ান শেষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আরও ৭ দিন ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। এদিন আদালত থেকে বেরনোর সময় মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে চোর চোর স্লোগানও ওঠে।  অন্যদিকে এদিন জ্যোতিপ্রিয়কে আদালতে পেশ করার পর ইডির আইনজীবী জানান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এর ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আগের দিন , যেহেতু এই ১০ দিনের মধ্যে ৩ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি। তাই আজ আবারও ৭ দিনের ইডি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।  

আদালতের নির্দেশের পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী জানান, উনি বার লাইবেরিয়ার মেম্বার , নির্দোষ , রাজনৈতিক পরিস্থিতির শিকার। হেফাজতে থাকাকালীন আমরা তার স্বাস্থ্যের বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। আদালতের কাছে আবেদন তদন্ত যেন দ্রুত শেষ করা হয়। কমান্ড হাসপাতাল আগের দিন বলেছিল আমরা আর্মিদের চিকিৎসার জন্য ওভার বার্ডেন। আমরা এই চিকিৎসার করতে পারব না। কমান্ড হাসপাতাল এই বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে। পরশু দিন শুনানি রয়েছে।