Weather News: ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে মুখভার আকাশের , উত্তর থেকে দক্ষিণ দফায় দফায় বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা

 চলতি মাসের ২০, ২১ ও ২২ তারিখ দুই বঙ্গেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হলেও, শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করবে।

Weather News: ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে মুখভার আকাশের ,   উত্তর থেকে দক্ষিণ দফায় দফায় বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: লক্ষ্মীবারের সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে আকাশের মুখভার। ঘূর্ণাবর্তের জেরে বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে দফায় দফায় বৃষ্টি। আজ প্রায় সারাদিনই থাকবে মেঘলা আকাশ। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে আগামী কয়েক দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। 

এক মাসও বাকি নেই পুজোর। তার আগেই বৃষ্টিতে একেবারে নাজেহাল অবস্থা আমজনতার। সকালবেলা কাজে বেরিয়ে যেমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে, তেমনই যানজটে হয়রান হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৪৮ ঘণ্টাও টানা বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতায় আগামী ২৪ ঘণ্টা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলিতেও। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, উত্তর পশ্চিম বঙ্গপোসাগর অর্থাৎ সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর ওড়িশার ওপর একটি নিম্নচাপ রয়েছে। এটিও ঝাড়খণ্ডের ওপর দিয়ে এগিয়ে আসছে। 

 চলতি মাসের ২০, ২১ ও ২২ তারিখ দুই বঙ্গেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হলেও, শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করবে। কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আজ। ভারী বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে ৮৫ শতাংশ। নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে উত্তরবঙ্গেও। পাহাড়ি এলাকার জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলার বিক্ষিপ্ত এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফে এই তিন জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলার পাশাপাশি শুক্রবার ভিজতে পারে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলার কয়েকটি এলাকা। 

বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলের উপরে একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। ক্রমশ তা উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাবে। নিম্নচাপের গতিবিধির উপরেই দক্ষিণ এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ নির্ভর করবে। পুজোর আর এক মাসও বাকি নেই। তার আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জমে উঠতে শুরু করেছে পুজোর বাজার। তবে ঘূর্ণাবর্তের জেরে ভারী বৃষ্টিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ব্যবসায়ী মহলেও।