Turkey Earthquake: ভূমিকম্পে ধ্বংসপুরী তুরস্ক, মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পার

গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার উদবাস্তুরা তুর্কির যে সমস্ত শহরে ঠাঁই নিয়েছিলেন, সেগুলিই অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাতারাতি ফের মাথার ছাদ হারিয়েছেন এই উদবাস্তুরা।

Turkey Earthquake: ভূমিকম্পে ধ্বংসপুরী তুরস্ক, মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পার

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: চারিদিকে ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। সোম থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে পাঁচ-পাঁচটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক-সিরিয়া। প্রিয়জনদের হারানোর শোকে ভারি হয়ে আছে আবহাওয়া। দিগন্ত বিস্তৃত হাহাকারের তছনছ হয়ে গিয়েছে সবকিছু। লাফিয়ে বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। যেদিকে চোখ যায় শুধুই ধ্বংসের চিহ্ন। এই ধ্বংস, হতাশা, স্বজন হারানোর কান্নার।  

ফের একবার কেঁপে উঠল তুর্কি। মঙ্গলবারের দ্বিতীয় ও এই নিয়ে পঞ্চমবার ভূমিকম্প তুর্কিতে। কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে এই দেশ। ভয়াবহ অবস্থা সিরিয়ারও। ইউরোপিয়ান সেসমোলজিক্যাল সেন্টার জানাচ্ছে, মঙ্গলবারের এই দ্বিতীয় কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৭। গভীরতা ছিল তুর্কির পূর্ব প্রান্তে ৪৬ কিলোমিটার পর্যন্ত। তুর্কির প্রায় ১০টি শহর নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বহুতল। ধ্বংসস্তূপ সরালেই দেখা যাচ্ছে সারিবদ্ধ লাশ।

গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার উদবাস্তুরা তুর্কির যে সমস্ত শহরে ঠাঁই নিয়েছিলেন, সেগুলিই অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাতারাতি ফের মাথার ছাদ হারিয়েছেন এই উদবাস্তুরা। সোমবারও ভোররাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। কম্পনের প্রভাব পড়ে প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াতেও। উদ্ধারকাজ শুরু হতেই লাফিয়ে লাফিয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বুধবার পর্যন্ত যা খবর শোনা যাচ্ছে, দুই দেশে মৃতের সংখ্যা প্রায় আট হাজার। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আগামী ৩ মাসের জন্য জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা।

এহেন পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের মতো ভারতও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ডগ স্কোয়াড, ত্রাণ সামগ্রী ও ওষুধের পাশাপাশি ১০০ জনের উদ্ধারকারী দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভারতীয় বায়ুসেনার আরও ২টি বিমান পাঠানো হয়েছে সে দেশে। তুর্কি যেন এখন এক মৃত্যুপুরী। এদিকে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট তাইপ এরদোগান। উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও।

প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ফোন করেন তিনি। সবরকমের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডে\ন। তিনি জানান, তুর্কি এবং সিরিয়াতে প্রকৃতির যে ধ্বংসলীলা চলেছে, তাতে বহু মানুষের প্রাণহানী হয়েছে। তিনি অত্যন্ত মর্মাহত। তুর্কির পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে আমেরিকা। একটি মনিটরিং টিম তৈরি করা হয়েছে এর জন্য।