টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, বেঘোরে প্রাণ গেল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর

ত ওই ছাত্রীর নাম-তৃষ্ণা ধক। সে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, এদিন তৃষ্ণারা মোট ৪ বন্ধু মিলে টিউশন পড়ে হাত ধরাধরি করে বাড়ি ফিরছিল।

টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, বেঘোরে প্রাণ গেল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বার বার বলা সত্ত্বেও টনক নড়ছে না প্রশাসনের। ফের রাজ্যে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এবার হাওড়ায় মাটিতে পড়ে থাকা ছেঁড়া তারে শক লেগে মৃত্যু হল নাবালিকা এক ছাত্রীর। 

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে, হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর নরেন্দ্রপুর গ্রাম এলাকায়। মৃত ওই ছাত্রীর নাম-তৃষ্ণা ধক। সে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, এদিন তৃষ্ণারা মোট ৪ বন্ধু মিলে টিউশন পড়ে হাত ধরাধরি করে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় বাড়ি ফেরার পথে ইলেকট্রিক পোস্টে বিপদজ্জনক ভাবে তার ছিঁড়ে পড়েছিল। ভেজা মাটি থাকায় চারজনকে বিদ্যুতে শক মারে। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে। 

জানা গিয়েছে, সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তৃষ্ণা ধককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এরপর ঘটনাস্থলে ডব্লিউবিএসই দফতরের আধিকারিকরা গেলে তাঁদেরকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেন। এদিকে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে  গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। 

অন্যদিকে, শিয়ালের পর এবার হনুমান আতঙ্ক দেগঙ্গায়। দেগঙ্গার কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাবক পাড়া ও মন্ডলপাড়ায় পবন পুত্রের আক্রমনে যখম হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন গ্রামবাসী। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

 পবনপুত্রের আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেন না বাড়ির লোকেরা। হনুমানের আতঙ্কে হাতে লাঠি নিয়ে বের হতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। ছাত্র-ছাত্রীরাও হাতে লাঠি নিয়েই স্কুলে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।