ভাঁড়ে মা ভবানী, আর্থিক দুর্দশা ঘোচাতে পাকিস্তানের পাশে নেই IMF

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে ভাঁড়ে মা ভবানী দশা পাকিস্তানের। চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে সেদেশের আমজনতা।

ভাঁড়ে মা ভবানী, আর্থিক দুর্দশা ঘোচাতে পাকিস্তানের পাশে নেই IMF

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: মুদ্রাস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে ভারতের পড়শি দেশে। দশ দিন টানা আলোচনা। কিন্তু লাভের লাভ হল না। পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য দিতে নারাজ আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা আইএমএফ।   

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে ভাঁড়ে মা ভবানী দশা পাকিস্তানের। চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে সেদেশের আমজনতা। রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে ভোজ্য তেল অমিল ইসলামাবাদে। সে দেশে পাম তেল, সোয়াবিনের তেল ও সানফ্লাওয়ার তেলের জোগানে ঘাটনি দেখা দিয়েছে। মিলছে না রান্নার তেলও। ব্যবসায়ীদের কাছে মজুত তেলভাণ্ডারেও টান পড়বে শীঘ্রই। প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামই আকাশছোঁয়া। এমনকী মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও  ব্যাহত হচ্ছে মাঝেমাঝে। দেশের এই দুর্দিনে পাশে নেই আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার - আইএমএফ-ও।

পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য দিতে নারাজ আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার। আসলে পাক সরকার ঋণ নেওয়ার জন্য IMF-এর দেওয়া সব শর্ত মানতে রাজি হয়নি। এদিকে আইএমএফ সাহায্য না করার ফলে পাকিস্তানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সেদেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার ছিল IMF-এর সঙ্গে আলোচনার শেষদিন। শুক্রবারই পাকিস্তান ছাড়বেন IMF-এর আধিকারিকরা। দীর্ঘ আলোচনার পরও পাক সরকারের আধিকারিকরা আইএমএফ কর্তাদের সঙ্গে ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেননি। ফলে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছেন IMF-কর্তারা। পাক সরকারের একটা অংশ অবশ্য দাবি করছে, IMF-এর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের একটা চুক্তি হয়েছে। কয়েকটি শর্ত নিয়ে আলোচনা এখনও বাকি। সেগুলি চূড়ান্ত হলে শেষপর্যন্ত সাহায্য মিলতেও পারে। তবুও আশার আলো ক্ষীণ। কারণ, পাকিস্তানের বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে এই আর্থিক সংকট থেকে বাঁচতে শাহবাজের দেশের একমাত্র ভরসা আইএমএফ।

গতবছরও মোটা অঙ্কের ঋণ দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার পাকিস্তানকে দুরবস্থা থেকে বাঁচিয়ে তুলেছিল। এ বছরও সাড়ে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পেতে মরিয়া ইসলামাবাদ। কিন্তু এই ঋণ নিতে প্রচুর শর্ত চাপিয়েছে আইএমএফ। পাক সরকারের সূত্র বলছে, সেসব শর্ত মানতে গেলে পাকিস্তানের রাস্তায় রাস্তায় দাঙ্গা বেঁধে যাবে। তাই সব শর্ত মানা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আর্থিক বিপত্তির মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান। সেদেশে আর্থিক বিপত্তি কাটাতে একের পর এক চেষ্টা চালিয়েও কোনও লাভের মুখ দেখেনি শাহবাজ সরকার। এদিকে, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের কাছে তারা সাহায্যের জন্য হাত পেতেছে সদ্য। সেই আইএমএফও এমন এক শর্ত দিয়েছে, যা মানতে নারাজ ইসলামাবাদ। এই পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের আলোচনা নতুন করে থমকে গিয়েছে। যারফলে কার্যত আরও অন্ধকারে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ!