রাত পোহালেই মকর সংক্রান্তি, টুসু পরবের প্রস্তুতিতে মাতোয়ারা বাংলার এই জেলা

রাত পোহালেই পৌষ পার্বণ। তাই টুসু ঠাকুর তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। তার সঙ্গে সঙ্গে চলছে বাজারে টুসু বেচা কেনা।

রাত পোহালেই মকর সংক্রান্তি, টুসু পরবের প্রস্তুতিতে মাতোয়ারা বাংলার এই জেলা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: অপেক্ষার আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। রাত পোহালেই রবিবার বাংলাজুড়ে পালিত হবে মকর সংক্রান্তি বা মকর পরব। আর এই পরব ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে ঝাড়গ্রামের কেন্দ্রাংড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের। এখানকার প্রায় ৩০টি পরিবার টুসু ঠাকুর তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা অর্জন করেন।

 জানা গিয়েছে, রাত পোহালেই পৌষ পার্বণ। তাই টুসু ঠাকুর তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। তার সঙ্গে সঙ্গে চলছে বাজারে টুসু বেচা কেনা। যুগের পর যুগ ধরে এই পরিবারগুলি টুসু তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাই মকর পরবের দিকে তাকিয়ে থাকেন তাঁরা। এই বিষয়ে গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ''আমরা খুবই গরিব, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই আমরা টুস ঠাকুর তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালায়। আমাদের ঘরবাড়ি নেই, মাটির কুঁড়ে ঘরে থাকি।'' এদিকে  তাঁরা যাতে শিল্পী ভাতা পায় তার জন্যও রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন এই প্রান্তিক মানুষগুলো।  

টুসু তৈরির পাশাপাশি বাঁশের ঝুড়ি সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে কোনক্রমে দিন গুজরান করেন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। আর মূলত এটাই তাঁদের প্রধান রুটি-রুজির পথ। এদিকে গত দু'বছর করোনার কারণে সেভাবে টুসু বিক্রি হয়নি। তবে এবার বাজারের টুসু বিক্রি হচ্ছে বলে শিল্পীরা জানান। তাই একটু বাড়তি লাভের আশা দেখছেন টুসু শিল্পীরা। কারণ এর উপর নির্ভর করে তাদের সারা বছর সংসার চলে। তাই টুসু শিল্পীদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। যদিও সরকারি তরফে কোনও রকম শিল্পীভাতা না পাওয়ায় আক্ষেপের সুরও ফুটে উঠেছে তাঁদের গলায়। যারফলে এই মরশুমে টুসু বিক্রি হলেও সারা বছর কীভাবে চলবে সে কথা ভেবে হতাশ হয়ে পড়েছেন এই সমস্ত টুসু শিল্পীরা!