Bangladesh Protest: অসহযোগে’র প্রথম দিনেই মৃত্যু ১০০ ছুঁইছুঁই, আরও হিংসার আশঙ্কা বাংলাদেশে

বারবার সরকার-বিরোধী আন্দোলনকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বাংলাদেশের নানা জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে। আর এই সংঘর্ষের জেরে শুধু রবিবারই বাংলাদেশে মারা গিয়েছে প্রায় ১০০ ছুঁইছুঁই। জানুন বিস্তারিত...

Bangladesh Protest: অসহযোগে’র প্রথম দিনেই মৃত্যু ১০০ ছুঁইছুঁই, আরও হিংসার আশঙ্কা বাংলাদেশে
হিংসা বিধ্বস্ত বাংলাদেশ।।

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: একটাই দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পদত্যাগ চাই। অসহযোগ আন্দোলনকে ঘিরে ফের অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে জায়গায় জায়গায় খণ্ডযুদ্ধ বেঁধেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উপরে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষে নাম জড়িয়েছে আওয়ামি লিগেরও। সংঘর্ষ, গুলি চালানোর ঘটনায় বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছুঁইছুঁই । 

এখনও জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সংরক্ষণ নিয়ে সে দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ের পরেও শান্ত হয়নি আন্দোলন। বাংলাদেশে এখনও পথে নেমে চলছে বিক্ষোভ, বাড়ছে মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে থাকা সব ভারতীয়কে অত্যন্ত সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারত সরকারের তরফ থেকে। সম্প্রতি যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাতে আপাতত কোনও নাগরিককে বাংলাদেশে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ ঢাকা অভিযানের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/WB-Minister-Akhil-Giri-will-be-resign-from-ministry-post

অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনই ফের রক্ত ঝরল বাংলাদেশে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে শাসকদল আওয়ামি লিগের সমর্থকদের সংঘর্ষে ১৪ জন পুলিশ-সহ শতাধিক মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে। আহতের সংখ্যাও শতাধিক। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের কার্ফু জারি করেছে শেখ হাসিনা সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের বাংলাদেশে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী (Bangladesh PM) শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন চলছে। এই অবস্থায় ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে এখনই যেন ভারতের কোনও নাগরিক বাংলাদেশে না যায়। যে ভারতীয় নাগরিকরা এখন বাংলাদেশে রয়েছেন তাঁদের অতি সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে। খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় (Dhaka) ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার কথা বলা হয়েছে। রবিবার প্রবল হিংসার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে। বারবার সরকার-বিরোধী আন্দোলনকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বাংলাদেশের নানা জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে। আর এই সংঘর্ষের জেরে শুধু রবিবারই বাংলাদেশে মারা গিয়েছে প্রায় ১০০ ছুঁইছুঁই। তার মধ্যে একাধিক পুলিশকর্মী রয়েছেন।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Two-more-people-allegedly-arrested-due-to-allegation-of-Anandpur-bar-vandalize-case

বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ অশান্ত। প্রথমে সংরক্ষণের বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু করেছিলেন পড়ুয়ারা। প্রথম আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে ধীরে ধীরে তা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। টানা সংঘর্ষ রয়েছে আন্দোলনকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে। দিনের পর দিন দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে বহু। এরই মধ্যে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সংরক্ষণ নিয়ে রায় দিয়েছে। নতুন করে ধার্য হয়েছে সংরক্ষণের হিসেব। তারপরেও আন্দোলন কমেনি। এবার শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। 

বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লীগের দাবি এই আন্দোলনে হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে বিরোধীরা। তাদের নিশানা জামাত-বিএনপি। পাল্টা সরকারের দিকে হিংসার ও দমনের মাধ্যমে আন্দোলন বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। এই আবহেই ইতিমধ্যে বাংলাদেশের মাটিতে জামাতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরেও হিংসা-আন্দোলনে জেরবার বাংলাদেশ। ফের শুরু মৃত্যু মিছিল।