কুণালের মানহানি মামলায় আদালতে হাজিরা বিমান-সেলিম-শতরূপের

বাম নেতা শতরূপ ঘোষকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কী বললেন কুণাল ঘোষ? জানতে আরও পড়ুন...

কুণালের মানহানি মামলায় আদালতে হাজিরা বিমান-সেলিম-শতরূপের
নিজস্ব চিত্র।

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের করা মানহানি মামলায় আদালতে হাজিরা দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও বাম নেতা শতরূপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন নগর দায়রা আদালত সিপিআইএম-এর এই তিন নেতাকেই জামিন দেওয়া হয়। 

বাম নেতা শতরূপ ঘোষের গাড়ি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। প্রশ্ন তুলেছিলেন, ২০২১ সালে নির্বাচনী হলফনামায় যেখানে মাত্র ২ লক্ষ টাকা সম্পত্তি দেখিয়েছিলেন শতরূপ, সেখানে ২০২৩ সালে কীভাবে ২২ লাখি গাড়ির মালিক হলেন তিনি। সিপিএমের হোলটাইমার হয়ে এত দামি গাড়ি চড়াটা কি নীতিবিরুদ্ধ নয়? কুণালের সেই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে মাত্রা ছাড়ান শতরূপ। গাড়ির রহস্যভেদ করতে গিয়ে কুণালের বাবাকে জড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন।

শতরূপ দাবি করেন, গাড়িটি তাঁর বাবা শিবনাথ ঘোষের টাকায় কেনা। এরপরই কুণাল ঘোষকে আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করেন শতরূপ। বলেন, আমার বাবা আছে। সবার বাবা থাকে। তাঁরা গিফটও দেন। আশা করি কুণালবাবুরও ছিলেন, যদি না উনি টেস্ট টিউব বেবি হয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, কুণাল ঘোষের বেনামি ভাই থাকতে পারে বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। এদিকে বামনেতাদের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলায় বৃহস্পতিবার নিজেই আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই প্রসঙ্গে শতরূপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ''উনি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজে বিদেশ সফরে গিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না। বিদেশে এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী গেছেন। ১০ টাকারও শিল্প আনতে পারেননি। তাই মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করেছেন এবার সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুলটা বেকাতে হবে। শিল্প এবার চুরি করে আনতে হবে। তাই সাড়ে তিন বছর জেল খাটা একটা চোরকে সাথে নিয়ে গেছেন চুরি করে শিল্প আনবেন বলে।'' 

এদিকে বাম নেতা শতরূপ ঘোষকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ''যখন ওঁরা যুক্তিতে পারে না, তখন ওঁরা কুৎসা করে। ব্যক্তিগত কুৎসা করে। তাজ্যপুত্র’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন শতরূপ।'' অভিযোগ, তাতে সায় দিয়েছিলেন বিমান এবং সেলিম। এর পর তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলাম। বাম নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করার আগে অবশ্য সিপিএমের তিন নেতাকেই আইনি চিঠি পাঠিয়ে তাঁদের ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন কুণাল ঘোষ। কিন্তু সেই চিঠি তাঁরা উপেক্ষা করেন। তারপরই কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে মামলা দায়ের করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। গত ৫ এপ্রিল সেই মামলা গ্রহণ করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। বৃহস্পতিবার ২০০০ টাকার ব্যাক্তিগত বন্ডে জামিন পান বাম নেতারা। এছাড়াও ২০৫ CRPC ধারায় হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন শতরূপদের আইনজীবী। সেই রায় এখন স্থগিত রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।