মাথার উপর নেই ছাদ! ঝড়-বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই বিদ্যালয়ে চলছে পঠনপাঠন

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার সালাষ নারায়নপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রায় ৫৬ জন পড়ুয়া রয়েছে। স্কুলে মোট ক্লাসরুম রয়েছে চারটি।

মাথার উপর নেই ছাদ! ঝড়-বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই বিদ্যালয়ে চলছে পঠনপাঠন

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: করোনা অতমারি প্রায় অতীত। কেটে গিয়েছে লকডাউন-সরকারি বিধি নিষেধের পর্ব। ক্রমশ স্বাভাবিকের পথে সবকিছু। তবুও যেন এখনও স্বাভাবিক হতে পারল না হিলি থানার সালাষ নারায়ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়!

সূত্রের খবর, করোনা পর্বে প্রথম লকডাউন চলাকালীন সময়ে আমফান ঝড়ে উড়ে গিয়েছে স্কুলের চাল। তারপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে দু'বছর সেই স্কুলের চাল এখনও ঠিক করা হয়নি। প্রখর রোদ কিংবা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই চলছে স্কুলের পঠনপাঠন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষকে জানালেও আখেরে কোনও লাভ হয়নি। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার সালাষ নারায়ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

জানা গিয়েছে, স্কুলের শ্রেণিকক্ষের মাথায় ছাউনি বা চাল না থাকায় ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন স্কুলের পড়ুয়া থেকে শিক্ষকরা। যদিও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। 

জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার সালাষ নারায়নপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রায় ৫৬ জন পড়ুয়া রয়েছে। স্কুলে মোট ক্লাসরুম রয়েছে চারটি। যার মধ্যে দুটি ঘরের চাল উড়ে গিয়েছিল ঝড়ে। বর্তমানে একটি ক্লাস রুমে ক্লাস চলে। আর একটিতে স্কুলের নথিপত্র থাকে। সকলে এক সঙ্গে স্কুলে এলে সমস্যা দেখা দেয়। সকলকে এক ঘরে বসিয়েই পড়াতে হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

 গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যাপক ঝড় হয়। সেই সময় স্কুলের চাল উড়ে যায়। এদিকে স্কুলের চাল উড়ে যাওয়ার বিষয়টি সঙ্গে হিলি ব্লক প্রশাসন ও ডিপিএসসির কাছে জানিয়েছেন। তবে প্রায় বছর দুয়েক হলেও এখনও সেই স্কুলের চাল ঠিক হয়নি। শুধু তাই নয়, বর্ষাকালে সেই সমস্যা আরও বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।