কালভার্টের সমস্যায় যাওয়া হয় না স্কুলে, ভবিষ্যৎ বিপন্ন হতে বসেছে খুদে পড়ুয়াদের

জমাদার পাড়া জুনিয়ার বেসিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন, আগে কালভার্টের ওপার থেকে অনেক পড়ুয়া স্কুলে আসতো।

কালভার্টের সমস্যায় যাওয়া হয় না স্কুলে, ভবিষ্যৎ বিপন্ন হতে বসেছে খুদে পড়ুয়াদের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: কালভার্টের অভাবে বর্ষায় স্কুলে আসে না পড়ুয়ারা, এমনকি কমে যাচ্ছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ার সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। এর মধ্যে রয়েছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ৩নং সার্কেলের জমাদার পাড়া জুনিয়র বেসিক স্কুল।

জানা গিয়েছে,  আগে পড়ুয়াদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি থাকলেও এই স্কুলের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা মাত্র ৩২। স্কুলের পাশেই রয়েছে ছোট নদী। আর সেই নদীতে নেই কালভার্ট, সেই কারণে বর্ষায় নদীর ওপার থেকে স্কুলে আসতে পারে না পড়ুয়ারা। ওপার থেকে আসা পড়ুয়ার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩। নদীর ওপারের পড়ুয়ারা অন্যত্র গিয়ে পড়াশোনা করছে। কারণ বর্ষায় ঘুরপথে স্কুলে আসতে চায় না কেউ। 

জানা গিয়েছে, জমাদার পাড়া জুনিয়ার বেসিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন, আগে কালভার্টের ওপার থেকে অনেক পড়ুয়া স্কুলে আসতো। তবে কালভার্ট না থাকায় পড়ুয়ার সংখ্যা কমে গেছে। কালভার্ট থাকলে পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি থাকতো।সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন গধেয়ারকুঠী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ধর্ম নারায়ণ রায়। তিনি বলেন, ''ওই কালভার্ট নির্মাণের জন্য টেন্ডার ডেকে কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার মাঝ পথে কাজ ছেড়ে চলে যায়। কাজ অসমাপ্ত থাকায় বারবার বলা সত্ত্বেও ঠিকাদার কাজ করেনি। নতুন করে টেন্ডার ডেকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। প্রধানের দাবি,এখন শুধু কাজ শুরুর অপেক্ষা।''