কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার জিতেন্দ্র তিওয়াড়ি, সুপ্রিম প্রশ্নের মুখে বাংলা

জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কম্বলকাণ্ডে শনিবার নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেস ওয়ে থেকে গ্রেফতার হন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার জিতেন্দ্র তিওয়াড়ি, সুপ্রিম প্রশ্নের মুখে বাংলা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল:  কম্বল-কাণ্ডে নাটকীয় মোড়! জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কম্বলকাণ্ডে শনিবার নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেস ওয়ে থেকে গ্রেফতার হন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গা ঢাকা দেওয়া জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে।

শনিবার রাতেই জিতেন্দ্রকে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোলে। বিজেপি নেতাকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আসানসোল আদালত। এই ঘটনায় আগাম জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু সেই মামলার শুনানির আগেই গ্রেফতার হন আসানসোলের বিজেপি নেতা। সেই মামলার রায়ে আপাতস্বস্তি পেলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর তাঁকে আর হেফাজতে রাখতে পারবে না পুলিশ। শীর্ষ আদালতের এই রায়ে জামিনে মুক্তি পাবেন বিজেপি নেতা।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে ছিল জিতেন্দ্রর মামলার শুনানি। আদালতের নির্দেশে আগামী ২ সপ্তাহের জন্য জিতেন্দ্রর গ্রেফতারির উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। ফলে এই ২ সপ্তাহ তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। এর পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিন সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ। গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে চৈতালি তিওয়ারির ওয়ার্ডে শিবচর্চা অনুষ্ঠানে কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দু মঞ্চ ছাড়তেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর মামলায় চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকবার জিতেন্দ্রর ফ্ল্যাটে যান দুর্গাপুর-আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের কর্মীরা। কিন্তু প্রতিবারই ফ্ল্যাটে তালা ঝুলতে দেখে তাঁরা নোটিশ দিয়ে আসেন। তবে তিওয়ারি দম্পতির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলেই অভিযোগ।  

এদিকে সোমবার দিল্লি যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ''বোঝাই যাচ্ছে প্রতিহিংসা মূলক। কদিন আগে চিঁড়ে উৎসবে কত মানুষ চিঁড়ে চ্যাপ্টা হয়ে গেল। যে কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যান সেই উৎসব করলেন, তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হল না। জিতেনের অনুষ্ঠানে যতজন মারা গেছে, তার থেকে বেশি চিঁড়ে উৎসবে মারা গেছিল। এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন? মানুষকে এতো বোকা মনে হয়?''