স্বাস্থ্যকর্মীকে হেনস্থার প্রতিবাদ, বিধায়কের ভিডিও ভাইরাল ঘিরে তুঙ্গে তরজা

বিধায়ক তাকে বকাবকি করেন এবং কান ধরে ওঠবস করান। আর সেউ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই, বিধায়ক আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে বলে কটাক্ষ ছুঁড়েছে BJP। বিস্তারিত পড়ুন...

স্বাস্থ্যকর্মীকে হেনস্থার প্রতিবাদ, বিধায়কের ভিডিও ভাইরাল ঘিরে তুঙ্গে তরজা
তৃণমূল বি্ধায়ক অসিত মজুমদার

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: স্বাস্থ্য কর্মীকে হেনস্থার প্রতিবাদ। অভিযুক্তকে সবক শেখাতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন খোদ বিধায়ক। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে, হুগলির পোলবায়। মঙ্গলবার পোলবা হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে হেনস্থা করতে দেখেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি সেই সময় কাজিডাডাঙ্গা ফিরছিলেন। জানা গিয়েছে, দিল্লি রোড দিয়ে রাজহাট থেকে ব্যান্ডেল ফেরার সময় কাজিডাঙার কাছে দেখেন, কয়েকজন মিলে পোলবা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থা করছে।

এরপর বিধায়ক গাড়ি দাঁড় করিয়ে নেমে পড়েন। যারা হেনস্থা করছিল তারা বিধায়ককে চিনতে পেরে গা ঢাকা দেয় বলে অভিযোগ। এক যুবক সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। বিধায়ক তাকে বকাবকি করেন এবং কান ধরে ওঠবস করান। আর সেউ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই, বিধায়ক আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে বলে কটাক্ষ ছুঁড়েছে BJP। এই বিষয়ে হুগলি বিজেপির সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ''বিধায়ক নিজে বলছেন আইন হাতে তুলে না নিতে। আর এক যুবককে রাস্তায় কান ধরে ওঠবস করাচ্ছেন। আবার সেই ভিডিও ভাইরাল করছেন। ওই যুবক যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে বিধায়ক কেন পুলিশ ডাকলেন না। এই ঘটনা নিন্দাজনক।'' 

অন্যদিকে, বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ''আমি পোলবা ও মগড়া হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। বিধানসভা থেকে বাড়ি ফেরার সময় দেখি পোলবা হাসপাতালের এক কর্মীকে ধরে হেনস্থা করছে কয়েকজন। মারমুখি তারা। কি ব্যাপার জানতে গাড়ি থেকে নামতেই পালিয়ে যায় দুজন। আমি থানায় ফোন করে ওদের তুলিয়ে দিতাম। একজনের বাবা মা এসে হাতে পায়ে ধরে বারন করল। তখন ওই যুবককে কান ধরে ওঠবস করাই। কেউ কিছু অন্যায় করে থাকলে তার জন্য আইন আছে থানা পুলিশ আছে। বিচার দায়িত্ব ওই যুবকের। কেউ কোথাও আইন হাতে নিলে আমার সামনে পরলে যা করেছি এটা করব।''

জানা গিয়েছে, পরে পোলবা হাসপাতালের কর্মী শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়িতে একটি ডায়রি করেন। তিনি বলেন, 'হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। বিনা কারনে তিন যুবক আমাকে আটকে হেনস্থা করে। আমাকে থাপ্পর মারবে বলে। তখন বিধায়ক চলে আসেন।' এদিকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।