Flat Scam: ফ্ল্যাট প্রতারণায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, নথি নিয়ে CGO-তে নুসরত

প্রতারিতরা প্রথমে থানায় অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, পুলিশ পদক্ষেপ না-করায় তাঁরা যান ইডির কাছে। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিজেপি (BJP) নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। বিস্তারিত জানুন...

Flat Scam: ফ্ল্যাট প্রতারণায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, নথি নিয়ে CGO-তে নুসরত
ছবি সৌজন্যে- টুইটার

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: যাবেন কি, যাবেন না! ধোঁয়াশা ছিল অনেকটাই। তবে যাবতীয় জল্পনা কল্পনায় জল ঢেলে মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ের ১৭ মিনিট আগেই ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে CGO কমপ্লেক্সে পৌঁছলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে ঠিক কী ভূমিকা ছিল তাঁর? সেই সমস্ত তথ্য জানতে আজ সকাল ১১টায় সিজিও কমপ্লেক্সে Nusrat Jahan-কে তলব করে ইডি (ED Summoned Nusrat Jahan)। 

সূত্রের খবর, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা মামলায় তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান মঙ্গলবার হাজিরা দেন ইডি দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex)। প্রতারিতরা প্রথমে থানায় অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, পুলিশ পদক্ষেপ না-করায় তাঁরা যান ইডির কাছে। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিজেপি (BJP) নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। সেই মামলায় আজ নুসরতকে তলব করেছিল ইডি । সেই মত এদিন সকালে তিনি এসে পৌঁছন ইডি দফতরে। তবে সূত্র মারফৎ খবর, নুসরতের সংস্থা 'মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে' ঠিক কী ভূমিকা ছিল তাঁর? তাঁকে কেন ডিরেক্টর করা হয়েছিল? এই সংস্থার সঙ্গে আর কে কে জড়িত ছিল সেই সমস্ত তথ্য জানতেই আজ ED তলব করেছে বসিরহাটের TMC সাংসদকে। 

ফ্ল্যাট প্রতারণায় নুসরতের বিরুদ্ধে উঠেছে ২৩ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার প্রতারণার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ফ্ল্যাট (Flat Scam) দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। এই বিনিয়োগকারীদের টাকা কাদের কাছে পৌঁছেছে? ডিরেক্টর থাকাকালীন সংস্থার সঙ্গে কত টাকার লেনদেন হয়েছিল তা জানতে প্রশ্নমালা নিয়ে তৈরি ইডির দুঁদে গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, এর আগে ইডি (ED Notice) তলব নিয়ে গত ২ অগাস্ট সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। সেদিন যাবতীয় ব্যাঙ্ক নথি, কাগজপত্র নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, 'আমি কোনও ব্যাখ্যা দিতে আসিনি। যাদের মনে ভয় থাকে তাঁরাই ব্যাখ্যা দেয়। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি কোনও দুর্নীতি করিনি। ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। কোম্পানি ঋণ দিয়েছিল, সুদ সহ সেই ঋণ শোধ করে দিয়েছি। কোম্পানির কোনও শেয়ার হোল্ডার নই। ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আদালতে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট জমা দিয়েছি। আদালতের বিচারাধীন বিষয়, আইনত পদক্ষেপ নেওয়া হোক।' যদিও এরপরই সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে মেজাজ হারিয়ে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। আর তারপর আজ নুসরতের ইডি দফতরে হাজিরার বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।