আসছে দোল, অকাল বসন্ত উৎসব বিশ্বভারতীতে

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী আগামী ২ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু ‘বসন্ত বন্দনা’। ওইদিন সন্ধে সাড়ে ৬টায় লোক-সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘বসন্ত বন্দনা’র সূচনা

আসছে দোল, অকাল বসন্ত উৎসব বিশ্বভারতীতে

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: প্রথা ভেঙে শান্তিনিকেতনে অকাল বসন্ত বন্দনা। দোল পূর্ণিমার আগেই বসন্ত বন্দনার সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীতে। ৩ মার্চ বসন্ত বন্দনার অনুষ্ঠান সূচি প্রকাশ করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষাকর্মীরাই শুধুমাত্র বসন্ত বন্দনায় অংশ নেবেন। তবে এবারও বিশ্বভারতীতে ঐতিহ্যমণ্ডিত বসন্ত উৎসব হচ্ছে না। তাতেই ক্ষুব্ধ আশ্রমিক, পড়ুয়া এবং অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের একাংশ। 

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী আগামী ২ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু ‘বসন্ত বন্দনা’। ওইদিন সন্ধে সাড়ে ৬টায় লোক-সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘বসন্ত বন্দনা’র সূচনা। রাত ৯টায় বৈতালিক। পরদিন ভোর ৫টায় গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক। সকাল ৭টায় শোভাযাত্রা ও অনুষ্ঠান। সন্ধে সাতটায় পরিবেশিত হবে নৃত্যনাট্য ‘মায়ার খেলা’। ৭ মার্চ অর্থাৎ দোলের দিন গৌরপ্রাঙ্গণে পূর্ণদাস বাউলের গান দিয়ে শেষ হবে বসন্ত বন্দনা। 

এদিকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়কালে ২০১৯ সালে শেষবার বিশ্বভারতীতে সর্বজনীন বসন্তোৎসব হয়েছিল। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বসন্তোৎসব৷ তারপর থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে শুরু হয় সংঘাত। পড়ুয়া, আশ্রমিক, প্রাক্তনী, কর্মী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের একাংশের সঙ্গেও দূরত্ব বাড়ে উপাচার্যের। ফলে পৌষমেলার পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যায় বসন্তোৎসবও৷ ২০২১ ও ২২ সালে উপাচার্য নিজেদের মধ্যেই এই উৎসব উদযাপন করেছিলেন। এবারও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ককে কেন্দ্র করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র৷  

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় থেকে দোলের দিন শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব হয়ে আসছে। সেই প্রথা কার্যত উপেক্ষা করে অকাল বসন্তোৎসব ঘোষণা বিশ্বভারতীর। অন্যদিকে এবারও বসন্ত উৎসব পালন করা হবে না, তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। এদিকে, বসন্ত উৎসবে কেন পূর্ণদাস বাউলের গানের বন্দোবস্ত করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কারণ, রজত রায় উপাচার্য থাকাকালীন পূর্ণদাস বাউলের অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। সেই বিতর্কের পরেও কেন ফের পূর্ণদাস বাউলকে দিয়ে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত, স্বাভাবিকভাবে জল্পনা তৈরি হয়েছে।