'বসন্ত উৎসবের নামে তাণ্ডব, বিশ্বভারতীতে অশিক্ষিতের সংখ্যা বৃদ্ধি'! বিস্ফোরক উপাচার্য

শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবের নামে ‘বসন্ত তাণ্ডব’ হয়। তাই তাঁরা উদ্যোগী হয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছেন।

'বসন্ত উৎসবের নামে তাণ্ডব, বিশ্বভারতীতে অশিক্ষিতের সংখ্যা বৃদ্ধি'! বিস্ফোরক উপাচার্য

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল:  ফের একবার বিতর্কের মুখে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীতে অশিক্ষিত এবং অল্প শিক্ষিততে ভরে গিয়েছ, সম্প্রতি এমন মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসলেন তিনি। 

শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবের নামে ‘বসন্ত তাণ্ডব’ হয়। তাই তাঁরা উদ্যোগী হয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছেন। বুধবার বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে বসে এমনই মন্তব্য করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর এ-ও অভিযোগ, বিশ্বভারতী অশিক্ষিত এবং অল্প শিক্ষিত ব্যক্তিতে ভরে গিয়েছে। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘এমন বসন্ত উৎসব’ চাননি। পর পর দু’বছর কোভিড আবহে বসন্ত উৎসব বন্ধ ছিল। তার পর ২০২২ সালেও বসন্ত উৎসব বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সে বার কারণ হিসাবে হস্টেল খোলা-সহ একাধিক দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ের কথা বলেছিলেন উপাচার্য। কিন্তু এ বারও বসন্ত উৎসব বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে পড়ুয়াদের একাংশের বিরোধের মাঝে কেন বসন্ত উৎসব বন্ধ হল তা নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে উপাচার্যকে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। 

আজ বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “২০১৯ সাল থেকে বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসবের নামে আমরা তাণ্ডব দেখেছিলাম। সেই তাণ্ডবই আমরা বন্ধ করেছি। তার বদলেই করা হচ্ছে বসন্ত বন্দনা।” পাশাপাশি বিশ্বভারতীর এই প্রথা পরিবর্তন নিয়েও নানা বক্তব্য দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বলেন, “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনোই এই উৎসবের নামে তাণ্ডব চাননি। সে কারণেই এই প্রথার পরিবর্তন করা হয়েছে।” এথানেই শেষ নয়, তিনি বলেন, “বিশ্বভারতীতে অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিতের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে।যারা বিশ্বভারতীর অনেক ক্ষতি করছে।” 

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বহু মানুষ বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসবে শামিল হতে দূরদূরান্ত থেকে হাজির হন শান্তিনিকেতনে। ফাগুনে ভরে ওঠে কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত জায়গা। তবে গত ৩ বছর ধরে তা বন্ধ আছে। বিতর্কে এর আগেও নাম জড়িয়েছে উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তীর। আশ্রমিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। সেখানে এসে উপাচার্য কার্যত আক্ষেপের সুরে বলেন, শান্তিনিকেতনের রাবীন্দ্রিক, আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীরা অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, বিশ্বভারতীকে কুলষিত করছেন এ সব ব্যক্তিরা।