নতুন করে অ্যাডিনো ভাইরাস আতঙ্ক, চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর

জেলায় অ্যাডিনো ভাইরাসে কোনও শিশু আক্রান্ত না হলেও জ্বর, সর্দি কাশি উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু শিশু।

নতুন করে অ্যাডিনো ভাইরাস আতঙ্ক, চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: করোনা ভাইরাসের পর রাজ্য জুড়ে ফের নতুন করে অ্যাডিনো ভাইরাসের মাথা চাড়া দেওয়ায় রীতিমত উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের বহু হাসপাতালে ইতিমধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত শিশুরা ভর্তি। এমনকি শিশু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। যা নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর। 

এখনও পর্যন্ত মালদহ জেলায় অ্যাডিনো ভাইরাসে কোনও শিশু আক্রান্ত না হলেও জ্বর, সর্দি কাশি উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু শিশু। এনিয়ে কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী তৎপর মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। যথেষ্ট তৎপর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা। তবে ভর্তি থাকা শিশুর আত্মীয়রা জানিয়েছেন গ্রামীণ হাসপাতালে পরিষেবা তেমন ভাবে তারা পাচ্ছেন না চিকিৎসকরা রেফার করে দিচ্ছেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হচ্ছে। তবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বেডের সমস্যা রয়েছে।

মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমএস ভিপি পুরঞ্জয় সাহা জানান জ্বর ,সর্দি , কাশি উপসর্গ নিয়ে শিশুরা ভর্তি হচ্ছে। তবে অ্যাডিনো ভাইরাসের আক্রান্ত কোনও শিশু ভর্তি নেই। স্বাস্থ্য দফতরের যা নির্দেশিকা রয়েছে সেই নির্দেশিকা মেনেই আমরা সবকিছু করছি। প্রতিদিনই প্রায় ৮ থেকে ১২ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। এদিকে এই আডিনো ভাইরাসের নিয়ে দক্ষিণ মালদহ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় জানান, করোনার সময় রাজ্য সরকার যেভাবে সঠিক তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে সামনে নিয়ে আসেনি। ঠিক তেমন ভাবে অ্যাডিনো ভাইরাসের আক্রান্ত সংখ্যাও সঠিকভাবে আনা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন। অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা চাই স্বাস্থ্য দফতর যাতে সঠিক তথ্য সাধারন মানুষের কাছে নিয়ে আসুক। 

অন্যদিকে, এই অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, করোনা নিয়ে যেভাবে আমাদের রাজ্য সরকার দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করেছে তা অভূতপূর্ব। আমাদের মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এস এন সি ইউ, পিকু, ব্যবস্থা রয়েছে। শিশুরা ভালোভাবে চিকিৎসা পাচ্ছে। বিরোধীরা এর আগে করোনা নিয়ে রাজনীতি করেছেন এখন অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়েও রাজনীতি করছেন। আমাদের প্রশ্ন মৃত্যুমুখী মানুষদেরকে নিয়ে কেন বিরোধীরা রাজনীতি করছেন। রাজনীতি করার তো আরও বহু জায়গা রয়েছে।