পাশে বিশ্ব ব্যাঙ্ক, স্মার্ট হচ্ছে রাজ্যের ফেরি পরিষেবা

আগামী দিনে গ্রিন ভেসেল চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ওই ভেসেলগুলি কোনও বিদ্যুৎ ছাড়াই চলবে। নতুন ১৫টি জেটি তৈরি করা হবে এই প্রকল্পে।

পাশে বিশ্ব ব্যাঙ্ক, স্মার্ট হচ্ছে রাজ্যের ফেরি পরিষেবা
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: শুধু বাস-ট্রেন বা মেট্রো নয়। কর্মস্থলে পৌঁছতে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ ফেরিকেই মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে জলপথ পরিবহণকে ঢেলে সাজার উদ্যোগ নিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। সরকারের নয়া প্রকল্পে এবার কার্যত বদলে যাবে রাজ্যের নৌ পথের চেহারা।  জলপথ পরিবহনকে সাজিয়ে তুলতে তৎপর রাজ্যের পরিবহণ দফতর।

এক হাজার কোটির বেশি টাকা খরচ করে ফেরি পরিষেবার আমূল পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ত্রিবেণী থেকে গেঁওখালি ও কল্যাণী থেকে নূরপুর- গঙ্গার বুকে এই দুই নৌপথকে রাজ্য সরকার এই বিশেষ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করেছে। রাজ্যের তরফে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন অন্তত ৫ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন ও ৬০০ টন পণ্য ফেরি হয় ওই দুই নদীপথে। তাই ওই ফেরিঘাট থেকে নৌযান, সব ক্ষেত্রেই আমূল বদল ঘটানো প্রয়োজন বলে মনে করছে পরিবহণ দফতর।

এছাড়া, আগামী দিনে গ্রিন ভেসেল চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ওই ভেসেলগুলি কোনও বিদ্যুৎ ছাড়াই চলবে। নতুন ১৫টি জেটি তৈরি করা হবে এই প্রকল্পে। যে সব জেটি থেকে বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন, সেখানে তৈরি হচ্ছে টার্মিনাল। হাওড়া, পানিহাটি, চুঁচুড়া, নৈহাটি, মেটিয়াবুরুজে টার্মিনাল তৈরি হওয়ার কথা। এছাড়া নিবেদিতা সেতু থেকে শুরু হবে কার্গো রুট, যেখানে পণ্যবাহী ট্রাকও যাতায়াত করতে পারবে। জানা গিয়েছে এই কাজগুলির জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ৩০৬ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে আর বিশ্ব ব্যাঙ্ক দিয়েছে ৭১৫ কোটি টাকা। ৫ বছরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে।

ফেরি পরিষেবার আধুনিকীকরণ করার পাশাপাশি কল্যানী থেকে নূরপুর, ত্রিবেণী থেকে গেওখালি-র মধ্যে ঘাটগুলি বাছাই করে সুরক্ষিত পরিবহণের আওতায় আনা হচ্ছে। জলপথকে পরিবহণের জন্য ব্যবহার করলে একদিকে যেমন দূষণ কমবে, তেমনই গাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও কমবে। প্রায় ১১০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের জন্য ৭০ শতাংশ টাকা দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। রাজ্য সরকার দিচ্ছে ৩০ শতাংশ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৯ টি কংক্রিটের জেটি তৈরি হবে। যার মধ্যে ২৩টি জেটি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, আগামী দিনে গ্রিন ভেসেল চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। কোনও বিদ্যুৎ ছাড়াই চলবে ভেসেলগুলি। যে সব জেটি থেকে বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন, সেখানে তৈরি হচ্ছে টার্মিনাল। হাওড়া, পানিহাটি, চুঁচুড়া, নৈহাটি, মেটিয়াবুরুজে টার্মিনাল তৈরি হওয়ার কথা। এছাড়া নিবেদিতা সেতু থেকে শুরু হবে কার্গো রুট, যেখানে পণ্যবাহী ট্রাকও যাতায়াত করতে পারবে। এককথায় সময় বাঁচিয়ে জলপথে পরিবহণে নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।