ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে আধার (Aadhar Card Update) কার্ড হয়ে উঠেছে আমাদের পরিচয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি। এখন শুধু পরিচয় নয়, ব্যাঙ্কিং, পাসপোর্ট, স্কুল ভর্তি, চাকরি সংক্রান্ত নথিপত্র বা সরকারি প্রকল্পে সুবিধা পেতে হলে আধার আবশ্যিক। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, কোনও ভুল বা প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে একজন নাগরিকের আধার কার্ড ভুলবশত ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই হতচকিত হয়ে পড়েন। তবে চিন্তার কিছু নেই UIDAI আধার পুনরায় সক্রিয় করার জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া চালু করেছে।
কবে ডিঅ্যাক্টিভেট হয় আধার? (Aadhar Card Update)
প্রায়শই দেখা যায়, যদি আধারে কোনও ভুল তথ্য থাকে বা কারও মৃত্যুর (Aadhar Card Update) রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় ভুল হয়, তাহলে ভুল করে ধরে নেওয়া হয় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ফলে তাঁর আধার নম্বরটি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। এমন ঘটনা ঘটে গেলে নাগরিক নিজেই আবার তা সক্রিয় করার আবেদন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Cyber Fraud: সতর্ক হোন! সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়তে পারেন আপনিও!
কীভাবে আধার পুনরায় সক্রিয় করবেন? (Aadhar Card Update)
আপনার আধার কার্ড যদি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, তাহলে আপনাকে (Aadhar Card Update) UIDAI-এর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে পারেন তিনভাবে: ডাকযোগে, ইমেলের মাধ্যমে অথবা সরাসরি স্থানীয় আধার কেন্দ্রে গিয়ে। আবেদন জমা পড়ার পর, সংশ্লিষ্ট আধিকারিক তথ্য যাচাই করে নেন। প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে আধার কার্ডধারীকে বায়োমেট্রিক যাচাইকরণের জন্য আধার কেন্দ্রে ডাকা হয়। সেখানে মুখের ছবি, আঙুলের ছাপ ইত্যাদি সংগ্রহ করা হয়। এর পরে, সমস্ত তথ্য যাচাই হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হয়। এই তথ্য SMS বা ইমেলেও পাওয়া যায়। চাইলে myAadhaar পোর্টালে গিয়ে নিজেও আবেদনটির অবস্থা দেখে নিতে পারেন।
আবেদন করার সময় যেসব তথ্য লাগবে:
- আধার নম্বর
- নাম, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ
- রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর ও ইমেল
- ঠিকানা, জেলা, রাজ্য
- ১৮ বছরের নিচে হলে পিতামাতার আধার তথ্য
- স্বাক্ষর বা বুড়ো আঙুলের ছাপ
- আবেদন করার স্থান ও তারিখ
এই সব তথ্য UIDAI-এর নির্ধারিত ফর্মে সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে।
ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান?
অনেক সময় আধারে পুরনো ঠিকানা থাকার ফলে ব্যাঙ্কিং KYC, পাসপোর্ট বা ভর্তুকির কাজে সমস্যা দেখা দিতে পারে। UIDAI-এর সুপারিশ অনুযায়ী, প্রতি ১০ বছরে অন্তত একবার আধারের তথ্য আপডেট করা উচিত। বিশেষ করে ঠিকানা যদি বদলায়, তাহলে সেটি দ্রুত সংশোধন করা দরকার।

অনলাইনে ঠিকানা আপডেটের উপায়:
UIDAI-এর My Aadhaar পোর্টালের মাধ্যমে ঘরে বসেই ঠিকানা আপডেট করা যায়। এর জন্য আপনার আধারের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বর ও ঠিকানার প্রমাণপত্র (যেমন বিদ্যুৎ বিল, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, পাসপোর্ট ইত্যাদি) প্রয়োজন হবে।
শেষ কথা
আধার কার্ড এখন শুধু একটি আইডেন্টিটি কার্ড নয়—এটি আধুনিক জীবনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। তাই এর তথ্য সঠিক ও সক্রিয় রাখা অত্যন্ত জরুরি। ভুলবশত আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে উপরোক্ত নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন এবং নিজেকে ডিজিটাল পরিষেবাগুলোর জন্য সর্বদা প্রস্তুত রাখুন।