ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুরের পর আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ভারতীয় অবস্থান তুলে ধরতে জাপানে পৌঁছেছেন ভারতের সর্বদলীয় সাংসদদের প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জনতা দল (ইউ) এর সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝা, এবং সদস্য হিসেবে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রয়েছেন সাংসদ ব্রিজলাল, অপরাজিতা সারেঙ্গি, প্রধান বরুয়া, হেমাঙ্গ যোশী, সঞ্জয়কুমার ঝা, জন ব্রিটাস।
টোকিওতে গান্ধী মূর্তিতে মাল্যদান (Abhishek Banerjee)
জাপানে পা রেখেই প্রতিনিধি দলের প্রথম কর্মসূচি ছিল টোকিওতে অবস্থিত মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান। পরে তাঁরা টোকিওর ভারতীয় দূতাবাসে যান এবং সেখানে রাষ্ট্রদূত সিবি জর্জের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সিবি জর্জ জানান, “জাপান প্রথম দেশগুলির মধ্যে একটি যারা পহেলগাঁও হামলার পরে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমরা আশা করি ভবিষ্যতেও জাপান সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধে ভারতের পাশে থাকবে।”
আরও পড়ুন:India Pakistan Tensions : আর কত দিন ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ থাকবে পাক আকাশসীমা?
চারটি দেশ ঘুরে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র বার্তা (Abhishek Banerjee)
জাপানের পর ভারতীয় সাংসদদের এই প্রতিনিধিদল আরও চারটি দেশে যাবে: সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানে তাঁরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে ভারতের নিরাপত্তা ইস্যু এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করবেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে ধরাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ফোন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার পরেই অভিষেককে (Abhishek Banerjee) প্রতিনিধি দলের সদস্য করার প্রস্তাব দেন এবং তা মেনে নেন রিজিজু। দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্তর্ভুক্তি একটি “নৈতিক জয়”। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, এতে মমতার জাতীয় কৌশলী দক্ষতা আরও একবার প্রমাণিত হল।

আরও পড়ুন:Indian-Origin Entrepreneur: আমেরিকায় স্বদেশীয়র হামলায় নিহত ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা
অপরদিকে, কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকার আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযানের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলিকে আড়াল করতে চাইছে। তারা দাবি করেছে, পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুরের বিষয়ে সংসদে আলোচনা করা উচিত এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জবাবদিহি প্রয়োজন।
এই সফরের মাধ্যমে ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অবস্থানকে আরও জোরদার করতে চাইছে। শুধু কূটনৈতিক বার্তা নয়, ভারত এই উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমাজে পাকিস্তানের দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে দিতে চায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) উপস্থিতি তৃণমূলের জাতীয় গুরুত্বকেও তুলে ধরছে।