ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মালদা তৃনমূল কাউন্সিলর দুলালচন্দ্র খুনে (Dulalchandra Sarkar Murder Case) অভিযুক্তদের অবশেষে গ্রেফতার করলো পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধরা পড়ে আরও পাঁচজন। তৃণমূল মালদহ জেলা সহ সভাপতিকে খুন (Dulalchandra Sarkar Murder Case) করতে ১০ দিন ধরে রেকি করেছিল দুষ্কৃতীরা।
খুনে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা কারা? (Dulalchandra Sarkar Murder Case)
এই খুনের (Dulalchandra Sarkar Murder Case) ঘটনায় বৃহস্পতিবার যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় তাদের মধ্যে একজনের নাম মহম্মদ সামি আখতার। সামি বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা।অপরজন হল টিঙ্কু ঘোষ। যিনি ইংরেজবাজারের গাবগাছি অঞ্চলের বাসিন্দা। শুক্রবার সকালে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর মেলে। মালদহ জেলা পুলিশ এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ উভয় মিলে আব্দুল গনি নামের এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে।
কী বললেন দুলালচন্দ্রের গাড়িচালক? (Dulalchandra Sarkar Murder Case)
দুলালচন্দ্রের গাড়িচালক বলেন বৃহস্পতিবার মহানন্দাপল্লীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের প্লাইউড কারখানার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন দুলাল। কারখানার কর্মীদের বেতন মেটানোর কথা ছিল সেইদিন। তারপর যাওয়ার কথা ছিল দলীয় দপ্তরে। বাইক থেকে কয়েকজন লোক অনেকক্ষণ ধরেই নজর রাখছিল গাড়ির উপরে। গাড়িচালক বারণ করা সত্ত্বেও গাড়ি থেকে নেমে যান দুলাল। তারপরেই ঘটে যায় এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Dulalchandra Sarkar Murder Case)।
আরও পড়ুন:TMC Leader Murder News: দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
দুষ্কৃতীদের কী ছিল পরিকল্পনা?
পুলিশসুত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে দুলাল কোথায় যায়, কী করে খোঁজ রাখছিল দুষ্কৃতীরা। সঠিক সময়ে খুন করার সুযোগ খুঁজছিল তারা। প্রতিবছর বড়দিনে কার্নিভ্যাল করেন তিনি। দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করেছিল সেই অনুষ্ঠানেই তাঁকে গুলি করে খুন করবে (Dulalchandra Sarkar Murder Case)। কিন্তু সেইদিন দুলালকে একা না পাওয়ায় সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাদের। দুলালকে খুন করে মানিকচক হয়ে বিহারে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল দুষ্কৃতীরা।
দুলাল খুনে মিলছে সুশান্ত খুনের মত বিহারযোগ
গত নভেম্বরে কলকাতার কসবায় নিজের বাড়ির সামনে দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন আর এক তৃনমূল নেতা সুশান্ত ঘোষ। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। মালদহ তৃণমূল নেতা দুলালচন্দ্রের খুনের ঘটনা একই ধরণের বলে জানান তদন্তকারীরা। সুশান্ত খুনের চেষ্টার ঘটনাতেও বিহারের যোগ মিলেছিল। দুলালচন্দ্র খুনের ঘটনাতেও উঠে আসে সেই বিহারের নাম।
আরও পড়ুন:Mamata on BSF: অনুপ্রবেশে BSF-কে তোপ মমতার,পুলিশকেও কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি বিজেপি নেতার
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপি আইটি সেলের নেতা অমিত মালবীয় সমাজমাধ্যমে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। তিনি লিখছেন, “পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবিলম্বে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং প্রশাসনের একজন সদস্যকে রক্ষা করতে তিনি ব্যর্থ।“
১০ লক্ষ টাকার সুপারির বিনিময়ে খুন, বললেন মালদা পুরপ্রধান
এই খুনের বিষয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, “১০ লক্ষ টাকার সুপারি দিয়ে বিহার থেকে দুষ্কৃতী এনে দুলালকে খুন করা হয়েছে। এই খুনের পিছনে কারা আছে তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্তারা। এবিষয়ে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে নবান্নের বৈঠকে মালদহের এসপিকে তীব্র ভৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মততা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে শুক্রবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে নিহত তৃণমূল নেতার। শেষকৃত্য করা হবে মালদহের সোদুল্লাপুর শ্মশানে।