ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : ভুয়ো পাসপোর্ট (Fake passport) মামলায় মঙ্গলবার দিনভর রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গভীর রাতে ইডির (ED) জালে ধরা পড়লেন বিরাটির এক এজেন্ট। ইডি সূত্রে খবর, বিরাটি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে আজাদ মল্লিক নামে এক ব্যক্তি। এছাড়া মঙ্গলবার নদিয়ার গেদে থেকে অলোক নাথ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি।ভুয়ো পাসপোর্ট (Fake passport) তৈরির কাজে তিনি আজাদের সহযোগী বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
ইডির জালে বাংলাদেশি ‘এজেন্ট’ (Fake passport)
দু’জনকে জেরা করে বিশদে সমস্ত তথ্য জানতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা হয় আজাদ মল্লিকে । প্রায় ২.৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিন ইডির তরফে ইডি (ED) হেফাজতের আবেদন জানানো হয় আদালতে । বিচারক আগামী ২৯ তারিখ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃত ব্যক্তি আদতে বাংলাদেশি নাগরিক। ১০ বছর আগে তিনি ভারতে এসেছিলেন। টাকার বিনিময়ে তিনি বাংলাদেশিদের জাল পাসপোর্ট (Fake passport) বানিয়ে দিতেন। তদন্তকারীদের সন্দেহ, হাওয়ালা চক্রে জড়িত ছিলেন আজ়াদ। দুর্নীতির কোটি কোটি টাকার উৎস কী, ওই টাকা অন্য কোথাও ব্যবহার করা হয়েছে কি না— সে সব জানতেই হেফাজতের আবেদন করেছিল ইডি। ইডির আরও বক্তব্য, আজ়াদের স্ত্রী, সন্তান এখনও বাংলাদেশেই থাকেন। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। এর পরেই ধৃতের ১৩ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: মুসলিম ভোট ফেরাতেই অশান্তি? মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর
প্রায় ২.৫ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ (Fake passport)
ইডি সূত্রে খবর, ধৃত আজাদ কাঁচরাপাড়ার একটি ক্যাফে থেকে ১২-১৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ভুয়ো পাসপোর্ট (Fake passport) বানানোর কাজ করতেন। কখনও কখনও ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকাও দাবি করা হত। পাসপোর্টের পাশাপাশি অন্যান্য নথি ও পরিচয়পত্র বানানোর কাজও করতেন তিনি। তাঁর মোবাইলেও এ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ইডির। আজ়াদের দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ভুয়ো নথি ব্যবহার করে জাল পাসপোর্ট বানানোর এই চক্রের ‘মিডলম্যান’ হিসাবে কাজ করতেন আজাদ। বাংলাদেশেও এই চক্রের ‘এজেন্ট’ আছে বলে ইডির অনুমান। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আজাদের। নিজে এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের ব্যবসা এবং টাকাপয়সা লেনদেনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হলেও আড়ালে নিজের কারবার চালিয়ে যেতেন তিনি। এ ছাড়াও, ইডির দাবি, আজাদের মারফত প্রায় ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে হাওয়ালা মাধ্যমে। ধৃতের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে সেই সংক্রান্ত তথ্যও পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: SSC Scam: যন্তরমন্তরে চাকরি হারানো শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভ, বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজধানীতে প্রতিবাদ!
আজাদের আইনজীবীর দাবি
যদিও আজাদের আইনজীবী মহম্মদ হাসনাইন হোসেন আনসারির দাবি, যত কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে আদৌ তা হয়নি। ইডি দু’কোটিরও বেশি লেনদেনের কথা বললেও প্রমাণ দেখাচ্ছে মাত্র কয়েক লক্ষের। তাঁর আরও দাবি, তাঁর মক্কেল ভারতীয় নাগরিক। তবে স্ত্রী ও সন্তান বাংলাদেশে থাকেন, যা অস্বাভাবিক নয়।