ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল:‘একবার জো হমনে কমিট কিয়া হ্যাঁয়, ফির ম্যাঁয় আপনে আপ কি ভি নেহি শুনতা।”অপারেশন সিঁদুরের’ সাফল্য নিয়ে সলমন খানের সংলাপে দবাং দেখালেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং(Air Force Chief)। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি সম্মেলনে বক্তৃতা দিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল। ওই অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই ‘অপারেশন সিঁদুরে’ ভারতের সাফল্য এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশের আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার কথা করেছেন তিনি।
সলমন খানের সংলাপে দবাং (Air Force Chief)
‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে ভারতীয় বায়ুসেনার শৌর্য দেখেছে গোটা দেশ(Air Force Chief)। এই প্রসঙ্গে বায়ুসেনার প্রধান বলেন, ‘আকাশকে শক্তিশালী করতে হবে। কোনও অভিযানই সাফল্য পাবে না, বায়ুসেনা শক্তিশালী না হলে। এটা এই অভিযানেও বোঝো গিয়েছে। আমাদের নিজেদের দেশে শুধু উৎপাদন করলেই হবে না, ডিজাইনও করতে হবে।’এরপরেই সলমনের একটি ছবির সংলাপ উঠে আসে এয়ার মার্শালের কন্ঠে। তিনি বলেন,’একবার জো হমনে কমিট কিয়া হ্যাঁয়, ফির ম্যাঁয় আপনে আপ কি ভি নেহি শুনতা।’পাশাপাশি কোনও প্রতিরক্ষা চুক্তিতে যুদ্ধসরঞ্জাম দিতে কেন দেরি করে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং।

আত্মনির্ভর ভারত (Air Force Chief)
অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের বিদেশি নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে আসার বিষয়েও উল্লেখ করেন বায়ুসেনা প্রধান(Air Force Chief)। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র ভারতে যুদ্ধসরঞ্জাম তৈরি হওয়ার কথা বললেই হবে না, আমাদের নিজস্ব একটি কাঠামো তৈরি নিয়েও কথা বলা প্রয়োজন। আমাদের বাহিনী এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আস্থা থাকা দরকার। এ বিষয়ে আমাদের আরও খোলামেলা হতে হবে। একবার কোনও কিছুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিলে, সেটি পূরণ করা উচিত।এটা এরকম, আমরা মরে গেলে ঠিক আছে, কিন্তু আমাদের প্রতিশ্রুতি মরে যাওয়া ঠিক নয়।’
আরও পড়ুন- Covid-19: দেশজুড়ে চোখরাঙানি! চণ্ডীগড়ে করোনায় প্রথম মৃত্যু
অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য (Air Force Chief)
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন বায়ুসেনা প্রধান(Air Force Chief)। তাঁর কথায়, ‘অপারেশন সিঁদুর আমাদের স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে যে আমরা কোথায় যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে আমাদের কী প্রয়োজন। তাই আমাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা পুনর্গঠনের জন্যও অনেক কাজ করা দরকার, যা ইতিমধ্যেই চলছে।’এই অভিযানকে একটি ‘জাতীয় জয়’ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। তাঁর কথায়, হয়তো ঈশ্বরও ভারতের সঙ্গে ছিলেন। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের জন্য প্রত্যেক ভারতীয়কে ধন্যবাদ জানান এয়ার চিফ মার্শাল।
আরও পড়ুন- Shashi Tharoor: ‘আমার আরও ভালো…,’ কংগ্রেসকে পাল্টা নিশানা শশীর
সময়সীমা বড় সমস্যা (Air Force Chief)
বায়ুসেনা প্রধান বলেন, ‘সময়সীমা একটি বড় সমস্যা(Air Force Chief)। আমার মনে হয়, এমন একটিও প্রকল্প নেই, যেটি সময়মতো সম্পন্ন হয়েছে। এই বিষয়টির উপর আমাদের নজর দিতে হবে। এমন কোনও প্রতিশ্রুতি আমরা কেন দেব, যা পূরণ করা সম্ভব নয়? চুক্তি স্বাক্ষর করার সময়, কখনও কখনও আমরা নিশ্চিতই থাকি যে এটি (সময়মতো) পাওয়া যাবে না। তা-ও আমরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করি।’বর্তমানে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি নির্ভরতা অনেকটা কমিয়ে এনেছে ভারত। ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি করা হচ্ছে। মূলত দেশীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে ওই চুক্তি দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বায়ুসেনা প্রধান। উদাহরণ হিসাবে তেজস এমকে১এ যুদ্ধবিমান সরবরাহে দেরি হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।
