ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত ১২ জুন অহমদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান AI171 রানওয়ে ছাড়ার ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়েছিল(Plane Crach in Ahmedabad)। প্রাণ হারান ২৬০ জন যাত্রী ও বিমানকর্মী। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট থেকে উঠে এসেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যার ভিত্তিতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া।
কী বলছে তদন্ত রিপোর্ট? (Plane Crach in Ahmedabad)
প্রাথমিক তদন্ত চালিয়েছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)। তদন্তে জানা গিয়েছে:
- বিমানের দুই ইঞ্জিনেই জ্বালানি পৌঁছানো বন্ধ হয়ে যায় রানওয়ে ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে।
- দুই পাইলটের কথোপকথনে শোনা গিয়েছে:
- একজন বলছেন, “কেন তুমি বন্ধ করে দিলে (জ্বালানি)?”
- উত্তরে অন্যজন বলছেন, “আমি কিছু বন্ধ করিনি।”
- এই কথোপকথন থেকেই বোঝা যাচ্ছে, সম্ভবত জ্বালানির স্যুইচ “RUN” থেকে “CUTOFF” অবস্থায় চলে গিয়েছিল, অর্থাৎ ভুল করে বা যান্ত্রিক গ্লিচে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জ্বালানির সরবরাহ।
তবে এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। মূল কারণ জানতে আরও পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ চলছে(Plane Crach in Ahmedabad)।
কী বললেন এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও? (Plane Crach in Ahmedabad)
ক্যাম্পবেল উইলসন, এয়ার ইন্ডিয়ার এমডি ও সিইও, সোমবার কর্মীদের উদ্দেশে একটি বার্তা জারি করেন(Plane Crach in Ahmedabad)। সেখানে তিনি বলেন,“এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো উচিত নয়। তবে এটুকু পরিষ্কার— রক্ষণাবেক্ষণ বা যন্ত্রাংশে কোনও ত্রুটি ছিল না। আমাদের কাছে থাকা বোয়িং ৭৮৭ বিমানের প্রতিটি ইউনিট ডিজিসিএ-র তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সবই নিরাপদ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “যাঁরা প্রিয়জন হারিয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। একসঙ্গে কাজ করে যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য উড়ান পরিষেবা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

আরও পড়ুন: US Trade Deal : ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি! বন্ধুদের উপর শুল্ক, ভারতের সঙ্গে এখনও চুক্তি অধরা
বোয়িং ৭৮৭ এবং তদারকি (Plane Crach in Ahmedabad)
এয়ার ইন্ডিয়ার বহরে থাকা বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানের প্রতিটি ইউনিট ইতিমধ্যেই ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)-র অধীনে সম্পূর্ণ পরীক্ষা করা হয়েছে(Plane Crach in Ahmedabad)। কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি বা জ্বালানি সরবরাহ ত্রুটি পাওয়া যায়নি। তবে ক্যাম্পবেল জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যদি নতুন কোনও নিয়ম আরোপ করা হয়, এয়ার ইন্ডিয়া তা পুরোপুরি অনুসরণ করবে।

বিশেষজ্ঞদের মত (Plane Crach in Ahmedabad)
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিমানের রানওয়ে ছাড়ার মুহূর্তে জ্বালানির সাপ্লাই বন্ধ হওয়া একটি চরম বিপজ্জনক ঘটনা। এটি হয়,
- ম্যানুয়াল ভুলে (Human Error)
- অথবা কোনও ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেমে ত্রুটি
এই ঘটনার পর বোয়িং ও DGCA’র যৌথ পর্যবেক্ষণে সিস্টেম রিভিউ শুরু হয়েছে(Plane Crach in Ahmedabad)। এই দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা ভারতীয় উড়ান নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর নতুন করে আলোকপাত করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া এখন রক্ষণাবেক্ষণ, প্রোটোকল ও মানবিক দায়বদ্ধতা—তিনটি ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ সতর্কতা নিচ্ছে। চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্টে যদি অন্য কোনও ত্রুটি প্রকাশ পায়, সে দিকেও দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।