ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নেমে এসেছে শোক ও আতঙ্কের (Air India Plane Accident) ছায়া। আজ দুপুর আড়াইটার পরে সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমানটি ভেঙে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে ছিল ২৪২ জন যাত্রী, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের জীবনের জন্য আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে, দুর্ঘটনায় অনেক যাত্রী গুরুতর আহত এবং মৃতদেহ ঝলসে যাওয়ার তথ্যও জানা গেছে।
বিমানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Air India Plane Accident)
বিমান দুর্ঘটনার সময় গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও (Air India Plane Accident) ওই বিমানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বোর্ডিং পাসের ছবি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট তাঁর নাম দেখা যাচ্ছে। এই ভয়াবহ ঘটনায় গুজরাতের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ঘটনার খবর পেয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
টেকঅফ করার পরই দুর্ঘটনা (Air India Plane Accident)
বিমানটি টেকঅফ করার পর মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ (Air India Plane Accident) হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। আহমেদাবাদ থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি বিধ্বংসী ভাবে মাটিতে আছড়ে পড়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকারীরা আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শুরু করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
বড়সড় বিপদের সংকেত (Air India Plane Accident)
বিমান চালকের পাইলট MAYDAY কল করার তথ্য পাওয়া গেছে, যা বড়সড় বিপদের সংকেত হিসেবে ধরা হয়। ওই কলের পর বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় বিমানের গতি ছিল প্রায় ৩২২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা এবং এতে থাকা জ্বালানির পরিমাণ ছিল প্রায় এক লক্ষ ২৬ হাজার লিটার, যা আগুনে ব্যাপক বিস্তার ঘটানোর কারণ হতে পারে।

চালু হেল্পলাইন নম্বর
বিমানে ছিল ১১ শিশু এবং ২ সদ্যজাত শিশুও ছিলেন বলে জানা গেছে, যা এই দুর্ঘটনাটিকে আরও করুণ করে তুলেছে। দুর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি জরুরি হেল্পলাইন নম্বর (18005691444) চালু করেছে যেখান থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য সংগ্রহ ও সাহায্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু
অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক তৎপর হয়ে জরুরি বৈঠক ডেকে এই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এ ছাড়া মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে একটি কন্ট্রোল রুমও স্থাপন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার স্থানের আশেপাশে একটি ছাত্রাবাস রয়েছে, সেখানে ১২ জন ছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যা আরও শোকের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে।
আরও পড়ুন: Plane Crash in Ahmedabad: টেক অফের পরেই লন্ডনগামী বিমানে ভয়াবহ আগুন, বহু মৃত্যুর আশঙ্কা আহমেদাবাদে!
আকাশপথ নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে
এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে দ্রুত উদ্ধারকাজ ও চিকিৎসা চললেও আতঙ্কের পরিস্থিতি পুরো এলাকায় বিরাজ করছে। সবাই শোকসন্তপ্ত পরিবারদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য প্রার্থনা করছেন। দেশের আকাশপথ নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে এবং এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষও এই দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।