ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার (Air India Plane Crash) কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান AI-171 ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়। লন্ডনগামী এই বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারে ছিলেন মোট ২৪২ জন (১৭১ যাত্রী ও ক্রু)। দূর্ঘটনার পর মুহূর্তেই কালো ধোঁয়ার স্তূপ উড়ে যায় আকাশে, আর আহত যাত্রীদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং তৎপরতার মাধ্যমে আহতদের চিকিৎসা শুরু করেন।
মাঝারি আকারের, টুইন-ইঞ্জিন-ওয়াইড-বডি জেট (Air India Plane Crash)
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার — একটি মাঝারি আকারের, টুইন-ইঞ্জিন-ওয়াইড-বডি (Air India Plane Crash) জেট যা তার উন্নত প্রযুক্তি এবং জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য পরিচিত। ২০১১ সালে চালু হওয়া এই ড্রিমলাইনারটি বোয়িং ৭৬৭-২০০ইআর এবং এয়ারবাস এ৩৩০-২০০-এর মতো পুরনো দীর্ঘ দূরত্বের বিমানগুলিকে প্রতিস্থাপনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। এতে রয়েছে বৃহৎ ইলেকট্রনিকভাবে ডিমেবল জানালা, উন্নত বায়ুগতিবিদ্যার জন্য রেকড উইংটিপস এবং একটি কার্বন ফাইবার-রিইনফোর্সড পলিমার কাঠামো যা এর প্রাথমিক ফ্রেমের অর্ধেক তৈরি করে, যা ওজন এবং জ্বালানি খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে।
আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার বহর (Air India Plane Crash)
এই বিমানে দুই-শ্রেণী মিলিয়ে ২৪২ জন যাত্রীর (Air India Plane Crash) আসন রয়েছে। ৭৮৭-৮ বিমানটি প্রায় ৭,৩০৫ নটিক্যাল মাইল (১৩,৫৩০ কিলোমিটার) দূরত্ব ভ্রমণ করতে সক্ষম। এই মডেলটি এয়ার ইন্ডিয়া ছাড়াও আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, জাপান এয়ারলাইন্স, কাতার এয়ারওয়েজ এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স সহ বিশ্বখ্যাত অনেক আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার বহরে রয়েছে।
পরিবেশ ও খরচ কমাতে সাহায্য করে
সেটির চালু হওয়ার মাত্র ১৪ বছরেরও কম সময়ে, ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এক বিলিয়নেরও বেশি যাত্রীকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে — যা বিমান চলাচলের ইতিহাসে অন্য কোনো ওয়াইডবডি জেটের চেয়ে দ্রুততম। এর অত্যাধুনিক নকশা বিমান সংস্থাগুলিকে নতুন এবং দীর্ঘ দূরত্বের রুট খোলার সুযোগ দিয়েছে। হালকা ওজনের কম্পোজিট কাঠামোর কারণে এটি পূর্ববর্তী বিমানের তুলনায় ২৫% পর্যন্ত কম জ্বালানি ব্যবহার করে, যা পরিবেশ ও খরচ কমাতে সাহায্য করে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়
এয়ার ইন্ডিয়া AI-171 ফ্লাইটের পাইলটের ফ্লাইট অভিজ্ঞতা ছিল যথাক্রমে ৮,২০০ ঘণ্টা, এবং কো-পাইলটের ছিল ১,১০০ ঘণ্টা। দুর্ঘটনার ঠিক কারণ এখনো তদন্তাধীন। তবে দুর্ঘটনার পর দ্রুত MAYDAY সঙ্কেত দেওয়া হয়, তারপর বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিমান সংস্থার শেয়ার বাজারেও প্রভাব
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণে বিমান সংস্থার শেয়ার বাজারেও প্রভাব পড়েছে; বোয়িংয়ের শেয়ার মূল্যের পতন দেখা গেছে। এদিকে টাটা গ্রুপ এই দুর্ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ এবং উদ্ধারকর্মীরা পরিপূর্ণ সহায়তায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই দূর্ঘটনার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: Plane Crash Incident: ছাত্রাবাসে ভেঙে পড়ল বিমান, মৃত ১২!
বিমানের উন্নত প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তার খ্যাতি থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের দুর্ঘটনা গোটা বিমান পরিবহন সেক্টরে শোকের ছায়া ফেলেছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুনর্মূল্যায়নের দাবি তীব্রভাবে উঠছে।
চালু হল হেল্পলাইন নম্বর 18005691444