ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গুজরাতের আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার দুপুর (Air Plane Crash)দেড় টার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। ওই বিমানে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীও ছিলেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। বিমানটি আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়ান শুরু করেছিল। জানা গেছে, বিজয় রূপাণী লন্ডনে তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য যাচ্ছিলেন। এছাড়াও বিমানে বেশ কয়েকজন VVIP যাত্রী সওয়ার ছিলেন বলে জানা গেছে।
বড়সড় বিপদের সংকেত (Air Plane Crash)
বিমানটি দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে ২৩ নম্বর রানওয়ে থেকে টেক অফ (Air Plane Crash) করেছিল। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই পাইলট MAYDAY কল পাঠান, যা বড়সড় বিপদের সংকেত। পাইলটের ওই সংকেতের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানের বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ভয়াবহ দুর্ঘটনাস্থল মেঘানিনগরের মতো জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। দুর্ঘটনার ফলে বহুতল একটি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় এবং আশপাশের কয়েকটি বাড়িতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কেউ বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই (Air Plane Crash)
বিমানে মোট ২৪২ জন ছিলেন, যাত্রী এবং ক্রু (Air Plane Crash) মিলিয়ে। এর মধ্যে ছিলেন ১৬৯ ভারতীয়, ৫৩ ব্রিটিশ, ১ কানাডিয়ান ও ৭ পর্তুগিজ নাগরিক। বিমানে ছিলেন দুইজন পাইলটসহ ১২ জন বিমানকর্মী। দুঃখজনকভাবে কেউ বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পরে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সরাসরি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিমানটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার
বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, যা আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য পরিচিত। যদিও এই মডেলটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয়, তবুও এটিই প্রথমবারের মতো দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। বিমানটিতে ২৪২টি আসন ছিল এবং এটি লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে রওনা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Air India Plane Crash: বিমানটির মডেলে প্রযুক্তিগত সমস্যা? সেই নিয়েই উড়ল বিমান?
পরিবার ও অনুরাগীরা দুশ্চিন্তায়
বিজয় রূপাণীর বাড়ির বাইরে তাঁর অনুরাগীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তাঁর স্ত্রী অঞ্জলিও বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। জানা গেছে, বিজয় রূপাণী স্ত্রীকে আনতে যাচ্ছিলেন। এই দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে পরিবার ও অনুরাগীরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। দুর্ঘটনার পর মুহূর্তের মধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে শতাধিক অ্যাম্বুল্যান্স ও উদ্ধারকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা কাজ করছেন।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা শুধু গুজরাত নয়, পুরো দেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। বিমান সুরক্ষা ও জরুরি প্রতিক্রিয়ার গুরুত্ব আবারও সামনে এসেছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এই শোকসন্তপ্ত সময়ে নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার প্রার্থনা জানাচ্ছি। এয়ার ইন্ডিয়া এবং অন্যান্য সংস্থার পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের অপেক্ষায় সকলের নজর এখন।