ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে (Airhostess Assault Case) নামতেই গ্রেফতার করা হয় এক ২০ বছর বয়সি ভারতীয় যুবককে, যিনি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এক বিমানসেবিকার প্রতি শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে। সিঙ্গাপুরের স্বনামধন্য দৈনিক দ্য স্ট্রেটস টাইমস এই খবর প্রকাশ করেছে।
বিমানসেবিকাকে ঠেলে শৌচালয়ের ভেতরে…(Airhostess Assault Case)
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সেদিন রাত ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ বিমানের (Airhostess Assault Case) এক মহিলা যাত্রীকে শৌচালয়ে নিয়ে যান ওই বিমানসেবিকা। যাত্রী শৌচালয় থেকে বেরিয়ে গেলে, সেখানে পড়ে থাকা একটি টিস্যু কাগজ তুলতে যান তিনি। সেই সময় পেছন থেকে আচমকা হামলা চালায় অভিযুক্ত যুবক। সে বিমানসেবিকাকে ঠেলে শৌচালয়ের ভেতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।
ঘটনার তীব্রতা (Airhostess Assault Case)
ঘটনার তীব্রতা আঁচ করতে পেরে, বিমানসেবিকার সহকর্মীরা দ্রুত (Airhostess Assault Case) হস্তক্ষেপ করেন। মহিলা যাত্রীর সতর্কবার্তার পর, বিমানকর্মীরা শৌচালয় থেকে বিমানসেবিকাকে বের করে আনেন এবং অভিযুক্তকে নিবৃত্ত করেন।
পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে
ঘটনার পরপরই বিষয়টি বিমানসেবিকা তাঁর সুপারভাইজারকে জানান। বিমানের গন্তব্য ছিল সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর। বিমান নামার পরই বিমানবন্দর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট
সিঙ্গাপুর পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করা হয়েছে। আগামী ১৪ মে আদালতে মামলার পরবর্তী শুনানিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হতে পারে। দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্ত যুবকের তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। পাশাপাশি মোটা অঙ্কের জরিমানাও ধার্য করা হতে পারে।
নতুন করে ভাবনা শুরু
চাঙ্গি বিমানবন্দর পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এম মালতী সংবাদমাধ্যমকে জানান, “এই ধরনের ঘটনাকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখি। বিমানসেবিকারা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবার জন্য কাজ করেন, তাঁদের নিরাপত্তাও আমাদের অগ্রাধিকার।”বিমানটি ঠিক কোন দেশ বা শহর থেকে উড়েছিল, তা এখনও জানানো হয়নি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে। তবে এই ঘটনার পর সংস্থার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবনা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: Russia Ukraine War : ‘এ সপ্তাহেই শেষ’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ? ট্রাম্পের বার্তায় নতুন ইঙ্গিত!
এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ফের প্রমাণ করল, আন্তর্জাতিক উড়ানে যাত্রী ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের তৎপরতাই দেখিয়ে দিল, তারা নিরাপত্তা ইস্যুতে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নয়।