ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ১৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার তফসিলি জাতি এবং জনজাতির শংসাপত্র (Certificate Fraud) ভুয়ো বলে অভিযোগ উঠল মালদহের বিভিন্ন স্কুলের মধ্যে। স্কুলশিক্ষা দফতর ও অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের সচিবের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন জেলার মানিকচকের দক্ষিণ চণ্ডীপুরের বাসিন্দা ফেকু চৌধুরী।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শংসাপত্রের নথি (Certificate Fraud)
সংশ্লিষ্ট চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের কাছে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শংসাপত্রের (Certificate Fraud) নথি চেয়েছে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। অভিযোগকারী ফেকু চৌধুরীর দাবি, ‘‘ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ১২ জন শংসাপত্র পেয়েছেন মহকুমাশাসকের (সদর) কাছ থেকে, বাকি সাত জন মহকুমাশাসকের (চাঁচল) কাছ থেকে। এ বিষয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে একাধিক বার প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠিয়েও উত্তর পাইনি।’’
মহকুমাশাসকের তরফে চিঠি? (Certificate Fraud)
মালদহ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন বাসন্তী বর্মণ বলেন, ‘‘১৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে মহকুমাশাসকের (চাঁচল) তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের সে সব জাতিগত শংসাপত্র ২৮ মার্চের মধ্যে সংসদে জমা দিতে বলেছি। শংসাপত্র সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসককেও পাঠানো হবে।’’
আরও পড়ুন: School Fees: ছাত্র মৃত্যুর পরেও বকেয়া ফি চাইল স্কুল, প্রশাসনের দ্বারস্থ বাবা-মা
‘ নথি চাওয়ার বিষয় মনে করতে পারছি না’
মহকুমাশাসক (চাঁচল) শৌভিক মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘এমন কোনও নথি চাওয়ার বিষয় মনে করতে পারছি না। দেখে বলতে হবে।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর, যে ১৯ জনের নামে এই অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে ১৮ জন শিক্ষক, এক জন শিক্ষিকা। তাঁরা বর্তমানে সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে মানিকচক, মানিকচক-১, রতুয়া নিউ, কড়িয়ালি ও সদর দক্ষিণ চক্রে কর্মরত।