ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে নয়াদিল্লিতে একের পর এক জরুরি বৈঠকে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। একদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অন্যদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ—দু’জনেই নিজ নিজ স্তরে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন (Emergency Meetings)। সীমান্ত এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, বিশেষ করে বিমানবন্দরগুলিকে ঘিরে সতর্কতা আরও জোরদার করা হয়েছে।
অমিত শাহের বৈঠক: নজরে সীমান্ত ও বিমানবন্দর (Emergency Meetings)
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃহস্পতিবার রাতে নিজের বাসভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) এবং কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (CISF)-এর প্রধানরা। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষকর্তা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল-ও বৈঠকে যোগ দেন।
সূত্রের খবর, বৈঠকে মূলত আলোচনা হয় সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তা বাড়াতে কী কী নতুন ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, সে বিষয়ে।
বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে, এবং যেখানে বিমান চলাচল এখনও চালু, সেখানেও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজনাথ সিং-এর বৈঠক: তিন বাহিনীকে একসঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা (Emergency Meetings)
শুক্রবার সকালে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ দিল্লিতে সেনার তিন বাহিনীর প্রধান—থল, নৌ ও বায়ুসেনার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সূত্রের খবর, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া এবং পাকিস্তানের পাল্টা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী দিনগুলোতে ভারত কী কৌশল নিতে পারে, তা নিয়েই বিশদ আলোচনা হয় (Emergency Meetings)।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সীমান্তে জবাবি পদক্ষেপ, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, এবং বিমান আক্রমণ মোকাবিলায় প্রস্তুতির বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে।
অপারেশন সিঁদুর-এর পর যুদ্ধ পরিস্থিতির শঙ্কা (Emergency Meetings)
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করার পরে, পাকিস্তান সীমান্তে গোলাবর্ষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার দিনভর পাকিস্তান ভারতের একাধিক স্থানে হামলার চেষ্টা চালায়, তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতিতে সবকিছুই ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন: Pakistan: একদিন যুদ্ধ করেই জেরবার, ‘বাটি হাতে’ আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তান!
উভয় দেশের মধ্যে বিমান হামলার পাল্টাপাল্টি ঘটনার পরেই আকাশপথে নজরদারি এবং বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে ভারত (Emergency Meetings)।
দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা (Emergency Meetings)
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে সেনা মোতায়েন। রাজনৈতিক স্তরে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ চলছে, কূটনৈতিক স্তরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা রাখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জোড়া বৈঠক থেকেই স্পষ্ট, কেন্দ্র কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কায় দেশজুড়ে চালু হয়েছে পূর্ণমাত্রার প্রস্তুতি।