ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আন্তঃদ্বীপ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সম্ভাব্যনা (Andaman Airspace Closed) বিবেচনা করে আজ শুক্রবার এবং আগামীকাল শনিবার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের আকাশসীমা বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিন ঘণ্টা করে দুইদিন আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা (Andaman Airspace Closed)
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপর ও আশেপাশের আকাশপথ আজ এবং আগামীকাল তিন ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে (Andaman Airspace Closed)। মনে করা হচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে একটি আন্তঃদ্বীপ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হবে। একটি ‘নোটিস টু এয়ারমেন’ (NOTAM)-এর মাধ্যমে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের উপর দিয়ে কোনও বিমান চলাচল এই সময়ে করা যাবে না, কোনও উচ্চতায়ই নয়।
NOTAM অনুযায়ী, “আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপর এবং আশেপাশের আকাশপথে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি করিডোর ২৩ ও ২৪ মে, প্রতিদিন ভারতীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত (ইউটিসি সময় অনুযায়ী রাত ১টা ৩০ থেকে ৪টা ৩০) বন্ধ থাকবে।”
দ্বীপপুঞ্জে নিয়মিত অস্ত্র পরীক্ষা (Andaman Airspace Closed)
পিটিআই-কে এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন (Andaman Airspace Closed), “আজ আমরা সফলভাবে একটি উচ্চ-উচ্চতার অস্ত্র পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। আগামীকালও একটি অনুরূপ পরীক্ষা হবে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। আমরা এর আগেও এই ধরনের পরীক্ষা করেছি।”
উল্লেখ্য, আন্দামান ও নিকোবর কম্যান্ড (ANC) ভারতের একমাত্র ত্রি-সেনা কম্যান্ড।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে পরীক্ষা
এই সম্ভাব্য ভূমি আক্রমণ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময়, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে আপাত শান্তি বিরাজ করছে। তবে কেন্দ্র সরকার জানিয়ে দিয়েছে যে, ৭ মে থেকে চালু হওয়া “অপারেশন সিঁদুর” এখনো চলছে। ওই অভিযানে প্রতিবেশী দেশের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।
ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ও আকাশতীর সিস্টেমের ভূমিকা
এই অঞ্চলে শেষ বড়সড় অস্ত্র পরীক্ষা হয়েছিল জানুয়ারিতে, যখন দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশংসা করেন এবং জানান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষায় এটি বড় ভূমিকা নিয়েছে।
এছাড়া, পাকিস্তানের সর্বশেষ বড় হামলার সময় (৯ ও ১০ মে) দেশের স্বনির্মিত আকাশ প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ‘আকাশতীর’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, এই সিস্টেম একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আক্রমণ রুখে দেয়।
অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপট
২২ এপ্রিল পহেলগামের জঙ্গি হামলার পর, ৭ মে ভোরে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অংশ হিসেবে সুনির্দিষ্ট হামলা চালায় জঙ্গি ঘাঁটিতে। এর জবাবে পাকিস্তান ৮, ৯ ও ১০ মে ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিগুলিতে হামলার চেষ্টা করে। ভারত পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা, বিমানঘাঁটি, রাডার স্টেশন এবং কম্যান্ড সেন্টারে বড়সড় ক্ষতি করে।
ভারত-পাকিস্তানের শান্তিচুক্তি
১০ মে, বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী ঘোষণা করেন, ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশ স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সমস্ত রকম গুলি চালানো ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হয়।