ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অন্ধ্রপ্রদেশের দাঙ্গেতি জাহ্নবী, ২০২৯ সালে মহাকাশ ভ্রমণ করবেন (Andhra woman complete NASA program)। তিনি নাসার আন্তর্জাতিক বিমান ও মহাকাশ কর্মসূচি সম্পন্নকারী প্রথম ভারতীয়। জাহ্নবী একজন STEM সমর্থক এবং গ্রহাণু আবিষ্কারক।
২০২৯ সালে মহাকাশে পাড়ি দেবেন জানভি (Andhra woman complete NASA program)
আন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার পালাকোল্লু শহরের মেয়ে দাঙ্গেতি জাহ্নবী ২০২৯ সালে মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছেন (Andhra woman complete NASA program)। ইলেকট্রনিকস ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া এই তরুণী ভারতের প্রথম নাগরিক হিসেবে সফলভাবে শেষ করেছেন নাসার আন্তর্জাতিক এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রাম। দাঙ্গেতি জাহ্নবীকে নির্বাচিত করা হয়েছে আমেরিকার টাইটানস অরবিটাল পোর্ট স্পেস স্টেশনে যাওয়ার জন্য। এই স্টেশনটি আগামী চার বছরের মধ্যে চালু হওয়ার কথা।
পড়াশোনা এবং পরিবার (Andhra woman complete NASA program)
দাঙ্গেতি জাহ্নবী পাঞ্জাবের লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন (Andhra woman complete NASA program)। তার আগে তিনি নিজের শহর পালাকোল্লুতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষা শেষ করেন। তাঁর বাবা-মা শ্রীনিবাস ও পদ্মশ্রী বর্তমানে কাজের সূত্রে কুয়েতে থাকেন।
স্পেস ও বিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত
দাঙ্গেতি জাহ্নবী বিজ্ঞান ও মহাকাশ শিক্ষা নিয়ে অত্যন্ত সক্রিয়। তিনি ইসরোর শিক্ষা কর্মসূচিতে বক্তৃতা দিয়েছেন এবং দেশের বিভিন্ন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (NIT)-তে পড়ুয়াদের উদ্দেশে বক্তব্য রেখেছেন। পাশাপাশি তিনি নিয়মিত অংশ নেন অ্যানালগ মিশন, গভীর সমুদ্র ডাইভিং এবং দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ ভ্রমণে টিকে থাকার টেকনিক ও গ্রহবিদ্যা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে।
অ্যাস্টারয়েড আবিষ্কার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল সার্চ কল্যাবোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দাঙ্গেতি জাহ্নবী একটি সম্ভাব্য গ্রহাণু (অ্যাস্টারয়েড) আবিষ্কারে ভূমিকা রাখেন। এই আবিষ্কার হয় প্যানোরামিক সার্ভে টেলিস্কোপ ও র্যাপিড রেসপন্স সিস্টেম (Pan-STARRS) থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন স্পেস আইসল্যান্ডের জিওলজি প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত প্রথম ভারতীয় এবং সবচেয়ে কমবয়সি বিদেশি অ্যানালগ মহাকাশচারী।
আরও পড়ুন: NEET: মক টেস্টে ‘কম’ নম্বর! বেধড়ক মার বাবার, মর্মান্তিক পরিণতি কিশোরীর
পুরস্কার ও সম্মান
দাঙ্গেতি জাহ্নবীর এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য তিনি পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার ও সম্মান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল NASA Space Apps Challenge-এ পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড এবং ISRO World Space Week Young Achiever Award। এই ভারতীয় তরুণীর সাফল্য গোটা দেশের জন্য গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে। ২০২৯ সালে যখন তিনি মহাকাশে পাড়ি দেবেন, তখন তা হবে দেশের মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়।