ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: টলি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রযোজক হিসেবে এক বছরের পথ পেরিয়ে এলেন সুপারস্টার অঙ্কুশ হাজরা (Ankush Hazra Interview)। ২০২৪ এর ১১ এপ্রিল, প্রযোজক হিসেবে প্রথম ছবি দর্শকদের উপহার দেন অঙ্কুশ। তার পরিবর্তে পান দর্শকদের অফুরন্ত ভালোবাসা। যা অভিনেতার কাছে সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মির্জার এক বছর উদযাপন নিয়ে অভিনেতা একটি পোস্ট করেন। তারপর কমেন্ট বক্সে হাজারো অনুরাগীর প্রশ্ন, মির্জা কবে ওটিটিতে আসবে ? আবার অনেকের প্রশ্ন মির্জার পার্ট টু কবে আসতে চলেছে? প্রযোজক হিসেবে অঙ্কুশ কেমন? অঙ্কুশের ছবিতে কেন বারংবার ঐন্দ্রিলাকে দেখা যায়? ট্রাইব টিভির তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে। এ বিষয়ে কী বললেন তিনি ?
মির্জা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ (Ankush Hazra Interview)
এখন চলছেন ‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল’ ছবির শুটিং (Ankush Hazra Interview)। নিজেদের প্রোডাকশনে, যেখানে অঙ্কুশের সাথে দেখা যাবে ঐন্দ্রিলাকেও। অভিনেতার কথায়, ” এই ছবিটার পর এখন আপাতত কোনও পরিকল্পনা করিনি। আগে এই কাজটা শেষ হোক।” মির্জা প্রসঙ্গে বলেন, “মির্জা আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। তার সাথে জড়িয়ে রয়েছে ইমোশন সহ অনেক কিছু। কারণ মির্জার ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ফাইন্যান্সারের পয়সা ছিল না। কোনও প্রফিট মার্জিনের কথা ভেবেও এই ছবি বানানো হয়নি।”
সাবধান করেছিল ইন্ডাস্ট্রির মানুষ (Ankush Hazra Interview)
প্রথম যখন অঙ্কুশ প্রযোজনা করবেন ভেবেছিলেন, তখন পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে ঐন্দ্রিলার, প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল (Ankush Hazra Interview)? অঙ্কুশ বলেন, “প্রডিউসার হচ্ছি, তখন জীবনের নতুন একটা ধাপ। বাড়ির সদস্যদের মধ্যে গর্ববোধ এবং ভালো লাগা ছিল। পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন, কোন কোন রিস্ক ফ্যাক্টর রয়েছে, এসব অত বোঝে না। তারা সেই সময় ভীষণ খুশি ছিলেন। তবে ইন্ডাস্ট্রির প্রচুর মানুষ আমাকে সাবধান করেছিল। অনেকেই বলেছিলেন, এই পরিস্থিতিতে প্রযোজক হওয়া মানে আগুনের সাথে খেলা। আবার কেউ বলেছিলেন, আর কিছু বছর অপেক্ষা করে যা। কিন্তু পরিস্থিতি এমন হয়ে গেল যে, হঠাৎ করে ঝাঁপিয়ে পড়তে হল।”
আরও পড়ুন: Raghu Dakat Shooting: ফাঁস রঘু ডাকাতের দৃশ্য, বাহবা কুড়োচ্ছে দেবের লুক! দেখুন ভিডিও
প্রযোজক অঙ্কুশের শর্ত! (Ankush Hazra Interview)
তখন অভিনেতা অঙ্কুশ প্রযোজকদের কাছ থেকে কাজের জন্য ডাক পাচ্ছেন। সেই সময় যে সমস্ত প্রযোজকরা অঙ্কুশকে প্রযোজনার মাঠে নামতে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন, মির্জার সফলতার পর তাদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল ? অভিনেতার বক্তব্য, “এক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রযোজনা সংস্থা আছে যারা ডাক কমিয়ে দেয়, মূলত দুটো তিনটে কারণে। অনেকেই ধারণা করে নেয় যে, এখন হয়ত অঙ্কুশের অনেক শর্ত থাকবে। আবার অনেকেই ভাবে যে প্রথমেই একটা বড় ছবি বানাল, সেটা মুক্তি পেল। ওর হয়ত অনেক ক্রাইটেরিয়া থাকবে। শুধু আমি নয়, যারা অভিনেতা থেকে প্রযোজক হয়েছেন, মনে করা হয় তাদের অনেক শর্ত থাকবে। যে অভিনেতা প্রযোজক প্রথম ছবিতেই একটা ছাপ ফেলেছে, তারা পরপর মূলত নিজেদের হাউসেই ছবি করেছে।”
অঙ্কুশের ছবিতে বারংবার ঐন্দ্রিলা কেন?
অঙ্কুশ বলেন, “আমি যখন নায়ক হব কি হব না, ভাবনা চিন্তা চলছে তখন থেকেই ঐন্দ্রিলা কাজ করছে। সে কতটা কাছের, তাকে আমি কতটা চিনি, এটা সেকেন্ডারি ব্যাপার। আমার কাছে মূল প্রাধান্য হল, আমার একজন ভালো অভিনেত্রী দরকার। কার সাথে কোন চরিত্র যাবে সেটাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৫-১৬ পরে যারা লঞ্চ হয়েছে, তাদের মধ্যে ডেডিকেটেড অভিনেত্রী নিতান্তই হাতে গোনা। সেই জায়গা থেকে ঐন্দ্রিলার চয়েসটাই ঠিকঠাক। ঐন্দ্রিলা এমন একজন অভিনেত্রী, যাকে দিয়ে আমি অ্যাকশন করাতে পারব, কমেডি করাতে পারব, ড্রামা করাতে পারব। তবে আমি আর ঐন্দ্রিলা চেষ্টা করি, বিষয়টা যাতে রিপিট না হয়।”
আরও পড়ুন: Srabanti Chatterjee: বিচ্ছেদে চূড়ান্ত সিলমোহর, পরস্পরের অচেনা হলেন শ্রাবন্তী-রোশন
প্রযোজক হিসেবে অঙ্কুশ কেমন?
অভিনেতার কথায় “ছবি চলল নাকি চলল না, তার থেকেও বড় কথা ছবি চলাকালীন জুনিয়র লেভেল থেকে শুরু করে সিনিয়র লেভেলের টেকনিশিয়ানের সাথে তোমার ব্যবহার। সেটাই প্রমাণ করে যে, তুমি প্রযোজক হিসেবে কেমন। পয়সার হয়ত টান পড়তে পারে। মির্জার ক্ষেত্রেও হয়েছে। কারণ পুরোটাই আমার নিজের টাকা। সিনে কিংবা প্রমোশনে কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। আমি তো হিরো, ছবিটার মেন ফেস। সেই ইমেজটাকেও আমাকে ধরে রাখতে হবে। সেই জায়গায় আমি প্রত্যেকবার ইনসিকিউর হয়ে গেছি। আমি দু’দিন শুটিং অফ রেখে কোথাও মাচা করেছি। সেই টাকাটা আবার শুটিংয়ে লাগিয়েছি। কিন্তু ছবিটাকে কম্প্রোমাইজ হতে দিইনি।”