ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নানা সময়ে নানা রকম বিতর্ক উঠে। আবার অকারণে অন্যজনকেও দোষারোপ দেওয়া হয়। তেমনি সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরকেও (Lata Mangeshkar) দেওয়া হয়েছিল দোষারোপ! সংগীত জগতে দুই বোন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) ও আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle)। দু’জনেরই নামে আঙুল তোলা হয়। বলা হয়েছিল, তাঁরা কোনও প্রতিভাবান শিল্পীকে নাকি সংগীত জগতে আসতে দেননি! এ প্রসঙ্গে অনুরাধা পৌডওয়াল (Anuradha Paudwal) তাঁর নিজস্ব মতামত জানালেন। কী বললেন অনুরাধা পৌডওয়াল? সত্যিই কি এমন কিছু আদৌ ঘটেছিল? নাকি প্রতিভাবান বলেই, তাঁদের নামে ওঠে দোষারোপের অভিযোগ?
সুরসম্রাজ্ঞীর বিরুদ্ধে বিতর্ক! (Lata Mangeshkar)
সংগীত জগতে এক উজ্জ্বল নাম লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। যুগের পর যুগ কেটে গেলেও তাঁর কণ্ঠস্বর ভোলার নয়। তিনি আজ শারীরিক ভাবে উপস্থিত না থাকলেও তাঁর কন্ঠ আজও সংগীত প্রেমীদের মনে এক বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে। আর সেই সুরসম্রাজ্ঞী বিরুদ্ধে উঠেছিল বিতর্ক। বিতর্ক ওঠে, সংগীত জগতে নাকি প্রতিভাবান কোনও শিল্পীকে জায়গা দিতেন না লতা মঙ্গেশকর। শুধুমাত্র তাই নয়, এই অভিযোগ আশা ভোঁসলের দিকেও উঠেছিল।
জল্পনা মানতে না পারা (Lata Mangeshkar)
লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে, কী বললেন সংগীত শিল্পী অনুরাধা? শিল্পী অনুরাধার মতে, এমন ধারনাই মিথ্যা। তিনি এমন জল্পনা মানতে পারবেন না। সেসময় ‘অভিমান’ ছবিতে সংগীত পরিচালনা করেছিলেন শচীন দেববর্মন (S.D. Burman)। সেখানে একটি ছোট্ট শ্লোক ছিল। তাতে অনুরাধার কণ্ঠস্বর তাঁর পছন্দ হয়েছিল, বলে এই ছোট্ট শ্লোকের জন্য লতা মঙ্গেশকরকে বলেননি। আর তারপর থেকেই অনুরাধার পথ চলা শুরু। সংগীত জগতে তাঁদের সাফল্যই হয়ত এই বিতর্কের কার, এমনটাই মনে করেন অনুরাধা পৌডওয়াল (Anuradha Paudwal)।
আরও পড়ুন: Darshana Banik: ‘মেট্রো ইন দিনো’তে টেনশনে দর্শনা, বলিউডে ভয় পেয়েছেন অভিনেত্রী!
সংগীতের পাশাপাশি পরিচালকও
প্রসঙ্গত, লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar )একজন সংগীত শিল্পী হওয়ার পাশাপাশি একজন সফল সংগীত পরিচালকও। বিভিন্ন ধরনের গান গেয়েছেন, যার মধ্যে ছিল গজল, পপ ও অন্যান্য ঘরানার গান।
আরও পড়ুন: Akshay Kumar: বলিউডের অন্দরে মসিহা অক্ষয়, স্টান্টম্যানদের জন্য বড় পদক্ষেপ!
কোটি কোটি মানুষের মন জয়
১৯৪২ সালে প্রথম লতা মঙ্গেশকর ( Lata Mangeshkar) গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে হিন্দি সিনেমায় গান করেন তিনি। বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, তামিল, কন্নড়, উড়িয়া, অসমীয়া, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, ভোজপুরি, নেপালি সহ আরও অনেক ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। তাঁকে ‘স্বর্ণ কণ্ঠী’ বলে ডাকা হয় সংগীত জগতে। আজও তিনি কোটি কোটি মানুষের মনে জায়গা করে রয়েছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা কোনও বিতর্ক বা জল্পনা পুরোটাই মিথ্যা।