ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দর্শক অপরাজিতা আঢ্যকে (Aparajita Auddy) পর্দায় ইতিবাচক চরিত্রে দেখতে বেশি পছন্দ করেন। অপরাজিতাকে আগাগোড়া সেই ধরনের চরিত্রেই দেখা যায়। কিন্তু এবার তিনি সেই ঘরানা ভেঙে ধরা দেবেন একদম অন্যরকম রূপে। ‘বানসারা’তে (Bansara ) এই প্রথমবার তাঁকে দেখতে চলেছেন খলনায়িকার চরিত্রে। কিন্তু কেন তিনি এই ছক ভাঙলেন? সত্যি কি তিনি নেগেটিভ চরিত্রে (Negetive Character) অভিনয় করতে ভালোবাসেন? জানালেন ট্রাইব টিভিকে।
স্ট্রং চরিত্রে অভিনয় করতে চান (Aparajita Auddy)
ট্রাইব টিভিকে অপরাজিতা (Aparajita Auddy) বলেন, দর্শক আসলে তাঁকে নিয়ে ভীষণ পজেসিভ। দর্শক অপরাজিতাকে খারাপ দেখতে চায় না। কিন্তু কিছু দর্শক আছেন, যারা তাঁকে নেগেটিভ চরিত্রে দেখতে চান। অভিনেত্রীর কথায় ” যেমন কমেডি করাটা খুব কঠিন, নেগেটিভ চরিত্র করাটাও কিন্তু কঠিন। আমি নিজেও চাই না নেগেটিভ চরিত্র করতে। কিন্তু বানসারা চরিত্রটা একদম অন্যরকম। যেভাবে আমি গল্পটা শুনেছি এবং যেভাবে চরিত্রটিকে সাজানো হয়েছে, চরিত্রটি ভীষণ স্ট্রং। আমরা সবসময় চাই স্ট্রং চরিত্রে অভিনয় করতে”।
কীভাবে পজেটিভ থাকেন? (Aparajita Auddy)
অপরাজিতা (Aparajita Auddy) এমন একজন ব্যক্তিত্বের মানুষ যিনি নেগেটিভ চরিত্র করতে চান না। আবার নেগেটিভ মানুষদের সাথে মিশতেও চান না। অভিনেত্রী ভীষণ পজেটিভ মানুষ। কিন্তু এই পজিটিভিটি তিনি কীভাবে ধরে রাখেন? অভিনেত্রীর কথায়, তাঁর জন্য সবসময় পজিটিভ ভাবতে হবে এবং মানুষের সঙ্গে কম মিশতে হবে।
আরও পড়ুন: Sonu Nigam: কলকাতায় মেজাজ হারালেন সোনু নিগম, ভোটে দাঁড়াতে বললেন দর্শকদের!
পার্টিতে যেতে পছন্দ করেন না
অপরাজিতা পার্টিতে যেতে খুব একটা পছন্দ করেনা না। কারণ হিসেবে বলেন, “আসলে লাউড স্পিকার ধোঁয়া সবকিছু মিলমিশে আমার একটা কষ্ট হতে থাকে। ওই জন্য আমাকে কোনও পার্টিতে দেখতে পাওয়া যায় না। তাছাড়া তুমি কাজ জানলে কাজ পাবে। তার জন্য পার্টিতে যাওয়ার দরকার নেই। তবে হ্যাঁ, পার্টিতে গেলে অনেকের সঙ্গে আলাপ হয়। অনেকে তোমায় চেনে, যেটা খুব প্রয়োজন”।
ভীষণ কুঁড়ে অপরাজিতা
ইন্ডাস্ট্রিতে দেখতে দেখতে প্রায় ২৮ বছর হয়ে গেল। অপরাজিতার খুব কাছের বান্ধবী মানসী সিনহা ছবি পরিচালনা করছেন। অপরাজিতার ছবি পরিচালনা করার ইচ্ছা হয় না? রীতিমত হেসে অভিনেত্রী বলেন, “আমি ভীষণ কুঁড়ে। আমার মনে হয়, ছবির পরিচালনার থেকে এভারেস্টে ওঠা সহজ। পরিচালনার কাজ তো খুবই কঠিন। আমি অভিনয় করতেই ভালোবাসি”।
আরও পড়ুন: Debadrita Basu: ভালোবাসা দিবসেও শুটিংয়ের চাপ, ট্রাইব টিভিতে ফাঁস রাহুল-দেবাদৃতার প্ল্যানিং!
খাদানের সাফল্যে আনন্দিত
‘খাদান’ প্রসঙ্গে বলেন, ছবির যে সাফল্য, উন্মাদনা তাঁকে খুবই আনন্দ দিয়েছে। অভিনেত্রী মনে করেন, এই উন্মাদনা হলে তবেই প্রোডিউসাররা ইনভেস্ট করার সাহস করবেন, তবেই ছবি সাকসেসফুল হবে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় জায়গা তৈরি হবে। এখন চলছে ‘বানসারা’ ছবির শুটিং। কিছুদিন আগেই পুরুলিয়ায় শুটিংয়ের কাজ হয়েছে। অভিনেত্রীর পছন্দের জায়গা পুরুলিয়া। ইচ্ছা আছে, পরে আর একবার পুরুলিয়ায় গিয়ে সাদা পলাশ দেখার।