ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: লাদাখের দ্রাস শহরে কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপনের সময় (Army chief reveals Rudra) সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর এই মন্তব্য এসেছিল। কেমন হবে নতুন ব্রিগেড?
‘রুদ্র’ ব্রিগেড গঠনের সিদ্ধান্ত (Army chief reveals Rudra)
শনিবার কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে লাদাখের দ্রাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ঘোষণা করেন (Army chief reveals Rudra), ভারতীয় সেনাবাহিনী আধুনিকীকরণ ও রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘রুদ্র’ নামে নতুন অল-আর্মস ব্রিগেড গঠন করছে। তিনি বলেন, “আজকের ভারতীয় সেনাবাহিনী শুধু বর্তমান চ্যালেঞ্জ সামলাচ্ছে না, বরং দ্রুত এগিয়ে চলেছে এক রূপান্তরিত, আধুনিক ও ভবিষ্যতমুখী বাহিনী হিসেবে। সেই লক্ষ্যে ‘রুদ্র’ নামে নতুন অল-আর্মস ব্রিগেড তৈরি হচ্ছে। আমি গতকালই এটি অনুমোদন করেছি। এই ব্রিগেডে থাকবে ইনফ্যানট্রি, মেকানাইজড ইনফ্যানট্রি, আর্মার্ড ইউনিট, আর্টিলারি, স্পেশাল ফোর্স ও আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেমের মতো যুদ্ধ উপাদান, যেগুলোকে সহায়তা করবে নির্দিষ্ট লজিস্টিক ও কমব্যাট সাপোর্ট ইউনিট।”
সীমান্তে ধ্বংসাত্মক শক্তি আনবে ‘ভৈরব’ কমান্ডো বাহিনী (Army chief reveals Rudra)
সেনাপ্রধান আরও জানান, “শত্রুকে চমকে দেওয়ার মতো চটপটে এবং ধ্বংসাত্মক ‘ভৈরব’ লাইট কমান্ডো ব্যাটালিয়নও গঠন করা হয়েছে (Army chief reveals Rudra)। প্রতিটি ইনফ্যানট্রি ব্যাটালিয়নের মধ্যে এখন একটি করে ড্রোন প্লাটুন রয়েছে। আর্টিলারির আগুনের ক্ষমতা অনেকগুণ বেড়েছে ‘দিব্যাস্ত্র ব্যাটারি’ এবং ‘লোইটার মিউনিশন ব্যাটারি’-র মাধ্যমে। সেনা বায়ু প্রতিরক্ষা শাখাকেও দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মাধ্যমে সজ্জিত করা হচ্ছে।” এই সব ব্যবস্থা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বহুগুণে শক্তিশালী করে তুলবে বলে জানান সেনাপ্রধান। সংবাদমাধ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দুটি ইনফ্যানট্রি ব্রিগেড ‘রুদ্র’ ব্রিগেডে রূপান্তরিত হয়েছে। এতদিন সেনাবাহিনীতে শুধু নির্দিষ্ট অস্ত্রভিত্তিক ব্রিগেড থাকত, কিন্তু ‘রুদ্র’ হবে সমস্ত শাখার সম্মিলিত গঠন।
অপারেশন সিন্দুর এবং পাকিস্তানকে বার্তা
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেনাপ্রধান স্মরণ করেন ২২ এপ্রিল অনন্তনাগের পহেলগামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসবাদী হামলার কথা, যেখানে ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, “ভারতের ঐক্যের ঐতিহ্য বজায় রেখে সেনাবাহিনী শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানে সুনির্দিষ্ট স্ট্রাইকের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করা হয়। পাকিস্তানের হিংসাত্মক হামলার কড়া জবাব দেয় সেনা। ভারত নির্ধারক জয় পায়।”
স্পষ্ট বার্তা
সেনাপ্রধান দ্বিবেদী আরও বলেন, এই অভিযানের মাধ্যমে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে — যারা সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবে, তারা আর রেহাই পাবে না। এই ঘোষণাগুলোর মাধ্যমে ভারতের সেনাবাহিনী এক নতুন যুগে প্রবেশ করল, যেখানে প্রযুক্তির আধুনিক ব্যবহারে সেনার কার্যক্ষমতা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও মজবুত হবে।