ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আজকের (Artificial Intelligence Hazard) দিনে আমাদের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এটি আমাদের কাজকে সহজ করে দিচ্ছে, তবে এর ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। বিশেষ করে, এআই যদি একদিন মানুষের কাজ ছিনিয়ে নেয়, তাহলে সেটা কি ঠিক হবে? এমনকি, যদি এআই কবিতা বা সাহিত্য লিখে দেয়, তাহলে কী কবি বা লেখকদের আর প্রয়োজন থাকবে? তবে প্রধান বিপদ শুধুমাত্র এখানে নয়, এর চেয়েও অনেক গভীর সমস্যা এর মধ্যে লুকিয়ে আছে।
প্যারিসে মোদীর বক্তব্য (Artificial Intelligence Hazard)
প্রধানমন্ত্রী মোদী প্যারিসে এআই অ্যাকশন সামিটে বক্তৃতা (Artificial Intelligence Hazard) দেন, যেখানে তিনি এই বিষয়ের ওপর গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের এমন একটি ওপেন সোর্স সিস্টেম তৈরি করতে হবে, যা মানুষের মধ্যে বিশ্বাস ও স্বচ্ছতা বাড়াবে। এআই প্রযুক্তির অ্যালগারিদমগুলো যদি পক্ষপাতমুক্ত এবং নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে তার প্রভাব অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।” মোদী আরও বলেন, আমাদের কোয়ালিটি ডেটা সেন্টার তৈরি করতে হবে, যাতে কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব বা বৈষম্য না থাকে। এক্ষেত্রে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
গুগল সার্চ এবং এআই সার্চের তফাৎ (Artificial Intelligence Hazard)
গুগল সার্চ এবং এআই সার্চের মধ্যে একটি বড় (Artificial Intelligence Hazard) তফাৎ রয়েছে। গুগল বা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে আপনি যখন কিছু সার্চ করেন, তখন এটি একাধিক লেখা সাজিয়ে দেয়, যেগুলো আপনি পরপর ক্লিক করে পড়তে পারেন। কিন্তু, সার্চের ফলাফল সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো স্বচ্ছতা থাকে না, কারণ গুগলের অ্যালগারিদম কীভাবে কাজ করে তা আমরা জানি না। ফলে, আমাদের ধারণা এবং মতামত প্রভাবিত হয়, কিন্তু তা কেমনভাবে তৈরি হচ্ছে, আমরা সেটা জানি না।
আরও পড়ুন: BYD Sealion 7: ভারতে লঞ্চ হলো BYD Sealion 7 ইলেকট্রিক SUV
এআই সার্চ
এখন যদি আমরা এআই সার্চের দিকে নজর দিই, যেমন জেমিনি বা কো-পাইলট অ্যাপ্লিকেশন, তাহলে এখানে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ধরুন, আপনি কিছু জানতে চাইলে এআই আপনাকে সোজা একটি লেখার ফর্মে উত্তর দিয়ে দেবে। আপনি জানবেন না, কোথা থেকে এআই তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং কীভাবে এটি লিখেছে। তবে, সমস্যাটি হল, এই লেখার উৎস বা তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত করা যায় না। এআই যদি কোনো ভুয়ো তথ্য বা পক্ষপাতিত্বপূর্ণ তথ্য দেয়, তবে সেটি অনেকেই সত্যি হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।

পলিটিক্যাল বা বিজনেস অডভান্টেজ
এটি আরও বড় একটি বিপদ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে পলিটিক্যাল বা বিজনেস অডভান্টেজের জন্য। কেউ যদি এআইকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক স্বার্থে ভুল তথ্য প্রচার করে, তাহলে সাধারণ মানুষ ভুল বুঝবে এবং তাদের পক্ষে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। তাই, প্রধানমন্ত্রীর উক্তি অনুযায়ী, আমাদের এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে নজর দিতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে তা বিশ্বাসযোগ্য, পক্ষপাতমুক্ত এবং স্বচ্ছ হবে।
পক্ষপাতিত্বমুক্ত এআই-এর অ্যালগারিদম
এআই-এর অ্যালগারিদম যদি পক্ষপাতিত্বমুক্ত হয়, তবে তা আমাদের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করবে। কিন্তু, যদি তা পক্ষপাতমূলক এবং অসত্য তথ্য প্রচার করতে শুরু করে, তবে তার ফলাফল হবে ভয়াবহ। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, এআই-কে এমন একটি সিস্টেম আবিষ্কার করা, যেখানে প্রত্যেকের জন্য সমান সুযোগ থাকবে এবং সবার কাছে তথ্য থাকবে স্বচ্ছ, যা কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব বা ভুল তথ্য থেকে মুক্ত হবে।