ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উত্তর ২৪ পরগনার একটি শহরতলির এলাকায় (Assault Case) এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে। মাত্র ১২ বছর বয়সী এক কিশোরী সদ্য একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রসূতি মহিলাদের খোঁজখবর নেওয়ার সময় এই নাবালিকার সন্ধান পান।
সৎ বাবাই দায়ী (Assault Case)
কিশোরীটি তার সৎ বাবার সঙ্গে (Assault Case) থাকত। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, কিন্তু ভয়ে সে কাউকে কিছু বলছে না। এই ঘটনায় তদন্তের জন্য স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি, নগরপাল এবং জেলাশাসককে বিষয়টি জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যকর্মীর খোঁজ (Assault Case)
স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী মিঠু বিশ্বাস ও নমিতা রাজবংশী (Assault Case) বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রসূতিদের খবর নেওয়ার সময় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে এই কিশোরী অনেক দিন ধরে অসুস্থ এবং বাড়ি থেকে বের হয় না। বিষয়টি জানার পর তারা তার বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন যে সে গর্ভবতী এবং প্রসবের সময় এগিয়ে আসছে। তারা তাকে নিজেদের ফোন নম্বর দিয়ে আসেন যাতে কোনো সমস্যা হলে যোগাযোগ করতে পারে।
আরও পড়ুন: Jadavpur University Incident Update: চলল রাতভর অবস্থান, কথা বলতে রাজি উপাচার্য!
শুক্রবার ভোরে প্রসব
গত শুক্রবার ভোরে কিশোরীর প্রসব বেদনা শুরু হলে সে স্বাস্থ্যকর্মীদের ফোন করে। তারা তাকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু আধার কার্ড না থাকায় প্রথমে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে স্থানীয় পুরপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে তাকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকায় স্বাস্থ্যকর্মী এবং একজন নার্সের সহায়তায় তার সন্তানের জন্ম হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বাভাবিক প্রসব হওয়ায় চিকিৎসকের প্রয়োজন পড়েনি।
হাসপাতালে কিশোরী
এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, কিশোরীটি ভয়ে কাউকে কিছু বলছে না, তবে তার এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি হওয়া উচিত। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি বলেছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের তৎপরতায় মেয়েটির জীবন বেঁচেছে এবং তাদের পুরস্কৃত করা হবে। তবে, এই ঘটনার তদন্ত জরুরি। পকসো আইন মেনে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিশোরী ও তার নবজাতক এখনও হাসপাতালে রয়েছে, এবং তার নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই এই ঘটনার আসল সত্য সামনে আসবে।