ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এখনও রিষড়ার বাসিন্দা তথা ভারতীয় জওয়ানকে (BSF Officer In Rishra) মুক্ত করেনি পাকিস্তান। এই ঘটনা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছে গোটা পরিবার। ভারত সরকারের সমস্ত এজেন্সি জওয়ান পূর্ণমকে ফেরাতে কাজ করছে বলে বিএসএফ সূত্রে খবর। ভুল করে পাকিস্তানে ঢুকে পাক সেনার হাতে বন্দি বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। চার দিন পেরিয়ে গেলেও তার মুক্তি কবে তা জানা যায়নি। তাই রিষড়ার জওয়ানের পরিবার উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা পাঠানকোট যাওয়ার স্থির করেছেন। রবিবার পূর্ণম কুমার সাউয়ের হুগলির রিষড়ার বাড়িতে আসে বিএসএফের একটি টিম।
‘আমরা কিছুটা ভরসা পেয়েছি’ (BSF Officer In Rishra)
রবিবার সকালে বিএসএফ এর আট সদস্যের একটি দল জওয়ানের রিষড়ার বাড়িতে আসে (BSF Officer In Rishra)। তারা পূর্ণমের পরিবারের কথা বলেন। মিনিট পনেরো কথা বলার পর তাঁরা বেরিয়ে যান।পূর্ণমের মুক্তির জন্য পুজো দিয়ে পুজোর ডালা নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। পূর্ণমের স্ত্রী রজনী সাউ বলেন, “দুপুর একটার বিমানে আমরা চন্ডিগড় যাব। সেখান থেকে পাঠানকোট যাব। আজ বিএসএফ-এর আধিকারিকরা আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তারা আসার পর আমরা কিছুটা ভরসা পেয়েছি। এখন মনে হচ্ছে ভালো কিছু খবর আসবে। তারা বলেছেন জওয়ানকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য সব রকমের চেষ্টা চলছে।”
‘কথা হয়েছে বিএসএফের কর্তাদের সঙ্গে’ (BSF Officer In Rishra)
গত বুধবার পাকিস্তানের মাটিতে ভুল করে ঢুকে পড়েছিলেন পূর্ণম (BSF Officer In Rishra)। তাঁকে আটক করে পাকিস্তানের সেনা। একাধিকবার ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ হলেও তাঁকে ফেরায়নি পাকিস্তান। পূর্ণমের বাবা ভোলানাথ সাউ আজ বলেন, ‘ছেলে সম্পর্কে কথা হয়েছে বিএসএফের কর্তাদের সঙ্গে। শুধু এটাই বলেছেন আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। আজ ওঁরা আসাতে আমরা একটু ভরসা পাচ্ছি। তবে চিন্তা পুরোপুরি কাটেনি।’ তাঁর কথায়, “বিএসএফ বলছে, ‘হিম্মত রাখো লড়কা জলদি আ জায়েগা।”
ট্রেনের বদলে বিমানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
জনী ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শারীরিক ধকল যথাসম্ভব এড়াতেই ট্রেনের বদলে বিমানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে রবিবার সন্ধ্যায় ট্রেনে যাবেন বলে ঠিক ছিল। আজ রজনীর সঙ্গে আট বছরের ছেলে, দুই বোন এবং খুড়তুতো ভাই যাবেন। কলকাতা থেকে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের বিমানে প্রথমে চণ্ডীগড়ে যাবেন তাঁরা। সেখান থেকে গাড়িতে পঠানকোট। রজনী বলেন, “পঠানকোটে যদি কোনও সহযোগিতা না পাই, তা হলে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যাব।”