ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : রাতের অন্ধকারে এটিএমে দুষ্কৃতীদের ‘ফাঁদ’ (ATM Fraud)। এটিএম থেকে গায়েব লক্ষ লক্ষ টাকা। শহর কলকাতায় এবার এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ। তাও আবার দেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) এটিএম কাউন্টার থেকেই একাধিক গ্রাহকের লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে (ATM Fraud)। চাঞ্চল্যকর ঘটনা দক্ষিণ কলকাতার সার্ভে পার্ক থানা এলাকায়।
কি ঘটেছে ? (ATM Fraud)
দক্ষিণ কলকাতার সার্ভে পার্ক থানা এলাকার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের কাছেই রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টার। রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার যাদবপুর স্টেডিয়াম ব্রাঞ্চের পাশে এটিএমে টাকা তুলতে যান কয়েকজন গ্রাহক। মেশিনে এটিএম কার্ড ইনসার্ট করার পর পাসওয়ার্ড দিয়ে নিয়ম মেনেই টাকা তুলতে গেছিলেন তাঁরা। এটিএমের মেশিনেই কার্ড ঢোকানোর পর নির্দেশমতো পিন দেন গ্রাহক। কিন্তু মেশিন থেকে টাকা তো বার হয়ই না, উল্টে কার্ডটাই আটকে যায়। অনেক চেষ্টা করেও মেশিন থেকে কার্ড বার করা সম্ভব হয়নি।
এরপর তাঁরা একটি হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করেন। সেই নম্বরে ফোন করার পর বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই পরামর্শ মতো কাজও কাজও করেন তারা। কিন্তু তা মানার পরেই ধাপে ধাপে ওই গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা গায়েব হয়ে যায় (ATM Fraud)। সূত্রের খবর, একাধিক ব্যক্তি প্রতারণার শিকার হয়েছেন একই এটিএম ব্যবহার করে।
এটিএমে ছিল না কোনও নিরাপত্তারক্ষী (ATM Fraud)
অভিযোগ এটিএমে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। গ্রাহকদের আশঙ্কা, জালিয়াতরা এটিএম মেশিনে কোনও কারচুপি করে রেখেছিল (ATM Fraud)। নগদ টাকা জমা হয়েছে এটিএম মেশিনেরই অন্য কোনও জায়গায়। সেখান থেকে তা লুঠ করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। তাঁদের দাবি, এটিএম কার্ড আনলক করার জন্য, হেল্পলাইন থেকে বলা হয়, পিন নম্বর দিয়ে ক্যানসেল বাটন প্রেস করার জন্য। অভিযোগ, সেই পদ্ধতি মেনে এগনোর পরই ধাপে ধাপে অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় মোটা অঙ্কের টাকা।
আরও পড়ুন : শীতের বিদায়বেলায় আবহাওয়ার চমক ! প্রবল ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
প্রতারণার শিকার একাধিক গ্রাহক
ই রিক্সা কেনার জন্য লোন নিয়েছিলেন বলাই সর্দার নাম এক গ্রাহক।এরপর এটিএম থেকে টাকা তুলতে যান বলাই। তাঁর অভিযোগ, এটিএম মেশিনে কার্ডটি দেওয়ার পর তা বেশ কিছুক্ষণ সেটি আটকে যায়। অনেক চেষ্টার পর হেল্পলাইনে ফোন করেন। সেখান থেকেই বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়। যা বলা হয় তাই করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত কার্ড না বের করতে পেরে বাড়ি চলে যান তিনি।এরপরেই দেখা যায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তিনবারে মোট ২৫ হাজার টাকা তোলার মেসেজ এসেছে। মেসেজ পাওয়ার পর তিনি এটিএমে যান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। আরও বেশ কয়েকজনের টাকা খোয়া গেছে বলেও জানা যায়। যাদের মধ্যে একজন লক্ষাধিক টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন : সরকারি হাসপাতালে অমানবিক ঘটনা ,বাচ্চার বমি পরিষ্কার বাবাকে দিয়েই !
তদন্তে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ
সার্ভে পার্ক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সর্বশান্ত গ্রাহকরা। অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এর পিছনে বড় কোনও চক্র রয়েছে বলে আশঙ্কা সাইবার বিশেষজ্ঞদের। তবে গ্রাহকরা হেল্পলাইন নম্বরটি কোথায় পেয়েছিলেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ।