ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আবাস যোজনায় (Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কুঁড়েঘরে থেকেও মিলছে না আবাস যোজনা ঘর। যোগ্য ব্যক্তিদের বদলে আবাসের তালিকায় নাম রয়েছে অট্টালিকায় থাকা ব্যক্তিদের। এহেন হাজারো অভিযোগ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
এবার আবাসের তালিকায় নাম দেখা গেল ভাঙড়ের (Bhangar) বিধানসভার শানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের। তবে চাপে পড়ে আবাসের তালিকা থেকে এক রকম নিঃশব্দে নিজের নাম বাদ দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান মিরাজুল ইসলাম।
বিডিওর দপ্তরে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন (Awas Yojana)
ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় (Bhangar) বিধানসভার শানপুকুর অঞ্চলের। শানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মিরাজুল ইসলামের নাম আসে আবাস যোজনার (Awas Yojana) তালিকায়। আর সেই তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জানালেন বিডিওর দপ্তরে।
মিরাজুল কেন নিজের নাম বাদ দিলেন? (Awas Yojana)
মিরাজুলের বক্তব্য, ‘যখন আবাসের সার্ভে হয়, তখন আমার আর্থিক অবস্থা খারাপ ছিল। সে জন্য আমি সরকারি ঘরের (Awas Yojana) জন্য আবেদন করেছিলাম। এখন আমি পাকা ঘরে থাকি, ব্যবসা করে একটা বাইকও কিনেছি। তাই, আমি বিডিও-কে আমার নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে বলি।’
আরও পড়ুন: Weather Update: ঘূর্ণিঝড় ‘ফেঙ্গল’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দিল মৌসম ভবন, বাংলাতেও পড়ছে প্রভাব!
মিরাজুলের সংযোজন, ‘আমি চাই, আমার পঞ্চায়েত এলাকায় যাঁরা প্রকৃত গরিব মানুষ, তাঁরা আবাসের বাড়ি পান।’ মিরাজুলের এই কাজের প্রশংসা করেছেন স্থানীয়দের অনেকেই।
বিরোধীদের কটাক্ষ
তবে ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের বিরোধীরা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা রশিদ গাজী বলেন,‘এই ঘটনা নতুন নয়। ঘর সাধারণ মানুষ না, ঘর পাবে তৃণমূল অ্যাক্টিভ সদস্যরা। আবাসের তালিকায় প্রধানের নাম এটা লোক জানাজানি হয়ে যেতেই প্রধান সাহেব বিপদে পড়ে নাম কাটিয়েছে। সম্পূর্ণটা আই ওয়াশ।’
অন্যদিকে বিজেপি নেতা অবনী মন্ডলের দাবি, ‘জনগণের টাকায় সরকার ঘর দিচ্ছে, এই আবাসের ঘরের সম্পর্কে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। যারা বেশি টাকা দেবে তারাই ঘর পাবে। প্রশাসনের কাছে আশা করবো যাতে তারা নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত ব্যক্তিদের ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করে।’
আরও পড়ুন: Daughter commits suicide: মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক! হীনমন্যতায় আত্মহত্যা একমাত্র মেয়ের
আবাস নিয়ে সার্ভে-র কাজ শেষ হলেও এখনও বহু মানুষ ঘর পাওয়ার জন্য ব্লক অফিসে প্রায় রোজই ছোটাছুটি করছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এখন যে সার্ভের কাজ চলছে, তাতে ঘর পেতে আবেদন জমা নেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে, ‘আবাস বন্ধু’র মাধ্যমে।
চার বছর পর, ২০২২ সালে একটা সার্ভে হয়। সেই সময়ে একটি তালিকা তৈরি হয়, কারা ঘর পাবেন আর কারা পাবেন না। যদিও ঘরের জন্য কোনও রকম টাকা বিতরণ করা হয়নি। এখন, ২০২৪ সালে ফের নতুন করে সার্ভে হচ্ছে। আবেদনকারীদের বাড়ি কাঁচা আছে নাকি অনেকটা পাল্টে গিয়েছে, তা জানতে।
আবাস যোজনায় সরকারি গাইডলাইন
সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী, আবাসের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে প্রথম কিস্তিতে দেওয়া হবে ৬০ হাজার টাকা। সেটা সরাসরি চলে যাবে সুবিধে প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। বাড়ির কাজ কিছুটা এগোলে সরকারি কর্মীরা সেটা যাচাই করবেন। সব ঠিকঠাক থাকলে সুবিধে প্রাপকের অ্যাকাউন্টে দ্বিতীয় কিস্তির ৪০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করা হবে। বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলে তিনি পাবেন শেষ কিস্তির ২০ হাজার টাকা।