ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি মামলার জামিনের তালিকায় জুড়ল আরোও একটি নাম। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেই জামিন পেয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষ। এ বার নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি-র দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন হুগলির ব্যবসায়ী অয়ন শীল (Ayan Sil)।বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে তাঁর জামিনের আবেদনের মামলা চলছিল। সোমবার বিচারপতি জামিন মঞ্জুর করেন অয়নের (Ayan Sil)।
শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর অয়ন শীলের (Ayan Sil)
সোমবার অয়ন শীলের (Ayan Sil) জামিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চ একাধিক শর্ত আরোপ করেছে ৷ ব্যক্তিগত ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে অয়ন শীলের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত ৷ তবে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে তাঁকে ৷ মোবাইল ফোনের নম্বর বদল করতে পারবেন না তিনি ৷ এমনকি অয়নের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা যে আদালতে চলছে, তার আওতাধীন এলাকার বাইরেও তিনি যেতে পারবেন না ৷ নিয়মিত আদালতে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে ৷ এর পাশাপাশি, নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তে প্রতি ক্ষেত্রে ইডিকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে অয়নকে ৷
কেন গ্রেফতার হয়েছিলেন অয়ন শীল? (Ayan Sil)
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে উঠে এসেছিল অয়ন শীলের নাম। ২০২৩ সালের ২২ মার্চ অয়ন শীলকে (Ayan Sil) গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তৎকালীন তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রোমোটার ছিলেন অয়ন শীল। তার আগে অয়নের চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ার বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি।
আরও পড়ুন: Egg Price: আলুর ডিমের আকাশ ছোঁয়া দাম, নাভিশ্বাস উঠল মধ্যবিত্তের, কেন মূল্যবৃদ্ধি?
কী বলেছিল সংস্থা?
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, তল্লাশিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা সম্বলিত কয়েকটি তালিকাও ছিল। ইডি সূত্রের দাবি, প্রায় শতাধিক ওএমআর শিট প্রতিলিপিও উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও ছিল সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও। শুধু ইডি নয়, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তেও উঠে এসেছিল অয়নের নাম। এই মামলায় সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটেও অয়নের নাম ছিল। ওই চার্জশিটে দাবি করা হয়েছিল, অয়নের দুই এজেন্টের মাধ্যমে বেশ কয়েক জন চাকরি পেয়েছিলেন।
বেআইনি ওএমআর
শিক্ষা ও পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়ন শীলের সংস্থাকে বেআইনিভাবে ওএমআর শিট তৈরির বরাত দেওয়া হত ৷ এমনকি পরীক্ষার ব্যবস্থাও করত অয়ন শীলের সংস্থা ৷ আর তাঁর মাধ্যমেই আর্থিক লেনদেন চলত ৷ পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় অয়ন শীলের নাম ছিল।
আরও পড়ুন: পর্যটনে নতুন দিগন্ত ‘হোম ট্যুরিজম’, বিধানসভায় সওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর
জামিন পেলেও এখনই নয় জেলমুক্তি
হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও এখনই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না অয়ন। দিন কয়েক আগেই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বর্তমানে সেই মামলা সিবিআই বিশেষ আদালতে বিচারাধীন। ওই মামলায় জেলবন্দি থাকতে হবে অয়নকে।