ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শীতের ব্যামোয় অব্যর্থ ভেষজ তেল(Ayurvedic Oil)। শীতকাল মানেই চামড়ায় টান। রুক্ষ ত্বক থেকে শুষ্ক চুলের জেল্লার দিকে খেয়াল দিতে হয় সবাইকেই। এই সময় সবথেকে বেশি দরকার পরে তেলের। কিন্তু ভেষজ তেলের থেকে উপকারী নয় কিছুই। কিছু ভেষজ তেলের সহায়তায় রুক্ষতা কাটিয়ে চকচকে থাকা যায়। সেগুলি কী কী? কোন তেল নিয়মিত ব্যবহারে মিলবে কী উপকার? জানুন কী বলছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
মহামাশ তেল (Ayurvedic Oil)
বয়সজনিত কারণে যাঁদের হাড় দুর্বল হয়ে পড়েছে বা বিভিন্ন প্রকার বাতব্যাধি সমস্যায় যেমন হাঁটু, কোমর, ঘাড়ে ব্যথা, বাহুশোষ ইত্যাদিতে যাঁরা দীর্ঘদিন ভুক্তভোগী তাঁরা প্রাথমিক স্তরে মহামাশ তেল ঈষৎ উষ্ণ অবস্থায় ব্যবহারিক প্রয়োগে সুফল পাবেন। সাধারণ ব্যথাতেও কার্যকর এই তেল(Ayurvedic Oil)।

ষড়বিন্দু তেল (Ayurvedic Oil)
কফ বৃদ্ধিজনিত কারণে নাক বন্ধ বা সাইনাস ঘটিত সমস্যায় ভুগলে, মাইগ্রেনের ব্যথায় কষ্ট পেলে সকাল-সন্ধে দুই নাকে তিন ফোঁটা করে ষড়বিন্দু তেলের নস্য নিন(Ayurvedic Oil)। তাই শীতে সবসময় কাছে রাখুন এই তেল। এতে ঠাণ্ডা লাগলে চিন্তার কোনো কারণ থাকলে না।

আরও পড়ুন:Winter Oil: শীতে তেল ব্যবহার করছেন তো? জানুন চেনা তেলের উপকারিতা
করঞ্জ তেল
এই তেল(Ayurvedic Oil) কৃমি, নেত্ররোগ, বাতব্যাধি ও ক্ষত নাশে প্রয়োগ হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগে বাহ্যিক প্রয়োগে আশাতীত ফল পাওয়া যায়। এই তেল প্রধানত ত্বকে ফোড়া এবং একজিমা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ক্ষত নিরাময়ে প্রয়োগ করা হয়। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ আছে। প্রদাহ বিরোধী কার্যকলাপের কারণে আর্থ্রাইটিসে উপকারী।

জাত্যাদি তেল
নিম, হরিদ্রা, মঞ্জিষ্ঠা, যষ্টিমধু, জাতিপত্র ও অন্যান্য ভেষজ সমৃদ্ধ এই তেল বিভিন্নপ্রকার ক্ষত, দুষ্ট ব্রণ, পুঁজ যুক্ত ঘায়ের নিরাময় ভালো ফল দেয়। বর্তমানে চুলের সমস্যায় অধিকাংশ মানুষই নাজেহাল। মুক্তি পেতে অনেকেই নিয়মিত চুলে তেল দেন, কিন্তু বাজারচলতি অধিকাংশ তেল বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত থাকায় আখেরে অজান্তেই চুলের যত্নের নামে ক্ষতিসাধন হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদে উল্লেখ ভৃঙ্গরাজ তৈল, ব্রাহ্মী তেল, যষ্টিমধু তৈল, মাল্যতাদ্য তেল চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে যথেষ্ট উপকারী।

আরও পড়ুন:Guava Benefits: শরীরের বিভিন্ন সমস্যার জন্য উপকারী পেয়ারা, জানুন কখন খাবেন পেয়ারা
প্রসারণী তেল
যাঁদের হাত-পায়ে প্রায়ই খিল ধরছে বা যাঁরা পেশীর সংকোচন জনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা চিকিৎসার পাশাপাশি আয়ুর্বেদের প্রসারণী তেলের প্রয়োগে যথেষ্ট লাভবান হবেন। এই তেল ঈষৎ উষ্ণ অবস্থায় মালিশ করে হালকা সেঁক নেওয়াই় নিয়ম।

কুমকুমাদি তেল
মুখে অবাঞ্ছিত দাগ ছোপ, মেচেতা থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত কুমকুমাদি তেলের ব্যবহার অত্যন্ত ফলপ্রসূ। তবে যকৃতের সমস্যা বা পেটের গোলযোগ থাকলে তার চিকিৎসাও জরুরি।

বাদাম তেল
বাদাম তেলে আছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই যা ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে। বাদাম তেল শুধু শুষ্ক ত্বক থেকেই মুক্তি দেয় না, ত্বকে পুষ্টি জোগাতেও সহায়তা করে।
