ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মহারাষ্ট্রের NCP নেতা বাবা সিদ্দিকী খুনের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে। খুনের ঠিক আগের মুহুর্তে মোট তিন দুস্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে লঙ্কার গুঁড়ো ছড়িয়ে দেয় বলে প্রাথমিক তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকীর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন একজন পুলিশ কনস্টেবল। শনিবার দশেরার উৎসবে যোগ দিতে মুম্বইয়ের পূর্ব বান্দ্রায় তাঁর ছেলের অফিস থেকে তিনি বেরোছিলেন। সেই সময়ই চোখের নিমেষে ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মহারাষ্ট্রের তিনবারের বিধায়ক খুনে এখনও পর্যন্ত দু’জন ধরা পড়লেও ফেরার তৃতীয় অভিযুক্ত। বাকি দুই অভিযুক্ত হল হরিয়ানার গুরমল বাজিৎ সিং (২৩)। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ধর্মরাজ কাশ্যপ (১৯)। ফেরার তৃতীয় দুস্কৃতীর নাম শিবকুমার গৌতম। তার খোঁজ পেতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ধৃত শ্যুটারদের পরিকল্পনা ছিল যে গুরমল সিং ও কাশ্যপ ওই ৬৬ বছর বয়সী এনসিপি নেতাকে দশেরার মিছিল এবং আতশবাজির আড়ালে গুলি করবে। যাইহোক, এনসিপি নেতা সিদ্দিকের চারপাশে মানুষের ভিড় এবং নিরাপত্তা দেখে গুরমলমার বলেছিলেন যে তিনি প্রথমে গুলি করবেন।
তিন শ্যুটারই তাদের সঙ্গে মরিচের গুঁড়া ও গোলমরিচের স্প্রে নিয়ে গিয়েছিল ঘটনাস্থলে। অভিযুক্ত শিবকুমার বাবা সিদ্দিকীকে লক্ষ্য করে পরপর ছয় রাউন্ড গুলি চালায়। এছাড়াও বাবা সিদ্দিকীর নিরাপত্তারক্ষী পুলিশ কনস্টেবলের দিকেও মরিচের গুঁড়ো ছুড়ে মারে। শিবকুমার তখন ভিড়ের মধ্যে লুকিয়ে পালিয়ে যায়, কিন্তু সিং এবং কাশ্যপ ধরা পড়ে যায়। তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল ও ২৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/probe-ordered-into-tamil-nadu-train-accident-restoration-to-take-over-16-hours/
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে বিরোধীদের এমভিএ জোটের অন্য দুই শরিক নেতা উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পাওয়ারও বাবা সিদ্দিকীর খুন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাওয়ারের বক্তব্য, শাসক জোটের নেতাদের এই খুনের দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব প্রশ্ন তুলেছেন, বাবা সিদ্দিকীকে ওয়াই-ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও কি ভাবে তাঁকে খুন করা হল? রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের গোয়েন্দা ব্যবস্থা কোথায় গেল?
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/couple-allegedly-arrested-by-police-due-to-allegation-of-parents-murder-case/
প্রসঙ্গত, বাবা সিদ্দিকী শুধু রাজনীতিক ছিলেন, তা নয়। সব দলের নেতাদের মধ্যে, বিশেষ করে বলিউডের তারকাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সেই তালিকায় তিন খান— সলমন, শাহরুখ ও আমিরও ছিলেন। বাবার খুনের ঘটনায় বিধানসভা ভোটের মুখে শাসক জোটের তিন দল, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা, অজিত পাওয়ারের এনসিপি ও বিজেপিও চাপে পড়ে গিয়েছে।