ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত এলাকা বালিগঞ্জে এক আইনজীবীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য (Ballygunge)। পরিবারের দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদ ও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন, তবে পুলিশের তদন্তে একাধিক দিক উঠে আসছে।
মৃত আইনজীবী স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বালিগঞ্জের একটি অভিজাত আবাসনে বসবাস করতেন। বেশ কয়েক মাস ধরে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিয়মিত কাজেও যেতে পারছিলেন না। সোমবার সকালে তার নিথর দেহ আবাসনের ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত (Ballygunge)
বালিগঞ্জ থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান — ঘটনাটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চূড়ান্ত মন্তব্য করতে নারাজ তদন্তকারীরা।
পূর্বের অনুরূপ ঘটনা (Ballygunge)
এই প্রথম নয় — কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীর রহস্যমৃত্যু আগেও শিরোনাম হয়েছিল। গত বছরের জানুয়ারিতে স্বস্তিক সমাদ্দার, বর্ধমানের ডিভিসি মোড়ের মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা, নিখোঁজ হওয়ার পর মৃত অবস্থায় উদ্ধার হন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২১ জানুয়ারি তিনি বাড়ি থেকে পালসার মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে যান। এরপর থেকেই যোগাযোগবিচ্ছিন্ন ছিলেন। কয়েকদিন পর বর্ধমান শহরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়, যা তখনও পুলিশের কাছে ধাঁধা হয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: Jeetu-Ditipriya: মিটল ভুল বোঝাবুঝি, আবারও একসাথে জিতু-দিতিপ্রিয়া
প্রশ্নের মুখে ‘নিরাপত্তা’
এই দুই ঘটনায় শহরের আইনজীবী মহলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পেশাগত চাপ, মানসিক অবসাদ ও ব্যক্তিগত সমস্যার সমন্বয় কি এমন মৃত্যুর কারণ, নাকি এর আড়ালে রয়েছে আরও কোনো অজানা রহস্য — তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত আইনজীবীর মোবাইল ফোন ও ব্যক্তিগত নথি বাজেয়াপ্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর শেষ কয়েকদিনের যোগাযোগ।