ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশের(Bangladesh Election) সংবিধান সংশোধন কমিশন দেশের জাতীয় সংসদ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী পদ সহ আরও অন্যান্য বিষয় নিয়ে সুপারিশ করেছে। বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সুপারিশ-সহ একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
১০ শতাংশ ‘তরুণ-তরুণী’ রাখা বাধ্যতামূলক (Bangladesh Election)
মুহাম্মদ ইউনূসকে সুপারিশ-সহ যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে সেখানে স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের প্রার্থিতালিকায় অন্তত ১০ শতাংশ ‘তরুণ-তরুণী’ রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানা যায়(Bangladesh Election)। এবং চার বছর মেয়াদী দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও ২১ বছর বয়সে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতার সুযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বয়স ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ২১ (Bangladesh Election)
জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ২১ বছর করার সুপারিশ করল বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কমিশন(Bangladesh Election)। এই সুপারিশ কার্যকর হলে কলেজ পড়ুয়ারা জাতীয় সংসদের ভোটে দাঁড়িয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে জাতীয় নিম্নকক্ষের প্রস্তাবিত ৪০০ আসনের মধ্যে অন্তত ৪০টিতে তরুণ–তরুণীদের দেখা যাবে।
আরও পড়ুন:Trump on Greenland: গ্রিনল্যান্ড কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রতিবেদন দেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
বুধবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন দেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ(Bangladesh Election)। পরে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। জানা যাচ্ছে এই সুপারিশ কার্যকর হলে কলেজ পড়ুয়ারা জাতীয় সংসদের ভোটে দাঁড়িয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব
কেমন সংসদ হবে সে বিষয়ে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, কমিশন একটি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করছে। একটি নিম্নকক্ষ জাতীয় সংসদ এবং একটি উচ্চকক্ষ (সিনেট)। উভয় কক্ষের মেয়াদ হবে ৪ বছর। নিম্নকক্ষ গঠিত হবে সংখ্যগরিষ্ঠ ভোটে সরাসরি নির্বাচিত সদস্যদের সমন্বয়ে। ৪০০ (চারশো) আসন নিয়ে নিম্নকক্ষ গঠিত হবে।
আরও পড়ুন:Gaza Ceasefire: সাফল্যের পথে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দীমুক্তি নিয়ে আলোচনা
একশটি নির্বাচনি এলাকা থেকে কেবল নারী প্রার্থী
সুপারিশে আরও বলা হয়,“৩০০ (তিনশো) জন সদস্য একক আঞ্চলিক নির্বাচনি এলাকা থেকে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। আরো ১০০ জন নারী সদস্য সারা দেশের সকল জেলা থেকে এই মর্মে নির্ধারিত ১০০ (একশটি) নির্বাচনি এলাকা থেকে কেবল নারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন।“
নিম্নকক্ষের সদস্যদের ‘পূর্ণ ক্ষমতা’ দেওয়ার সুপারিশ
সুপারিশের বলা হয়, “একজন সংসদ সদস্য একই সাথে নিম্নলিখিত যেকোনো একটির বেশি পদে অধিষ্ঠিত হবেন না: (ক) প্রধানমন্ত্রী, (খ) সংসদনেতা এবং (গ) রাজনৈতিক দলের প্রধান।“ অর্থবিল ব্যতীত অন্য সবক্ষেত্রে নিম্নকক্ষের সদস্যরা যাতে তাদের মনোনয়নকারী দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারে, সেই ‘পূর্ণ ক্ষমতা’ দেওয়ার সুপারিশও করেছে সংস্কার কমিশন।