ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি (Bangladesh Freedom Movement) মুখ খুলেছেন ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র প্রধান শফিকুর রহমান।
সাক্ষাৎকারে কী জানিয়েছেন তিনি? (Bangladesh Freedom Movement)
তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম ভারতের আনুকূল্যে দেশ (Bangladesh Freedom Movement) স্বাধীন না হোক। আমরা চেয়েছিলাম ভোটের অধিকার আনতে পাকিস্তানিদের বাধ্য করা হোক।” জামায়াতের এই নীতিগত অবস্থান নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, কারণ তাদের এই বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা বিপরীত বলেই মনে করছে অনেকে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে কবে স্বীকৃতি পাবে তারা? (Bangladesh Freedom Movement)
শফিকুর রহমান আরও বলেন, জামায়াত প্রয়োজনে গেরিলাযুদ্ধের মাধ্যমে (Bangladesh Freedom Movement) দেশের মুক্তির পক্ষপাতী ছিল। এটি একটি চিত্তাকর্ষক দাবি, বিশেষ করে যখন জামায়াতের ইতিহাসের কথা আসে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে, এবং এই দাবি অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে শেখ হাসিনার শাসনামলে, কিন্তু ইউনূস সরকারের আমলে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে নির্বাচন কমিশনের কাছে এখনও রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের স্বীকৃতি প্রত্যাশা করছে জামায়াত।
আরও পড়ুন: Muhammad Yunus: অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়, ইউনূসের জোরালো মন্তব্য
নতুন বিতর্কের সূত্রপাত!
শফিকুর রহমান “পচা অতীত” বলতে কি বোঝাতে চেয়েছেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, “একাত্তরে আমি যদি কোনও অপরাধ করে থাকি, সেটাও পচা অতীত।” এর মানে হল, তিনি একাত্তরের ঘটনার জন্য নিজে দায়ী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন না, বরং সেই সময়ের পরবর্তী অপরাধগুলিকেও “পচা অতীত” হিসেবে উল্লেখ করছেন। এই মন্তব্যগুলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিভিন্ন দিককে নতুন করে বিতর্কের মুখে এনে দিয়েছে।
শফিকুর রহমানের বিতর্কিত বক্তব্য
ভারতের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গে শফিকুর রহমানের বক্তব্য, “আমরা কারও দয়া-অনুকম্পায় যদি স্বাধীন হই, তা হলে এক বিপদ ঘাড় থেকে সরবে, এর চেয়ে বড় বিপদ আমাদের ঘাড়ে চাপবে।” এটি আসলে একটি রাজনৈতিক রণনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সংঘাতের নৈতিক ভিত্তি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
জামায়াত ও বিএনপির সম্পর্কে ফাটল!
রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে জামায়াত ও বিএনপির দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা যায়। দুই দলের মধ্যে অতীতে সরকার গঠনের নজির রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে নির্বাচনের প্রশ্নে তাদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যদিও শফিকুরের দাবি, “কোনও দূরত্ব তৈরি হয়নি,” তবে বাস্তবতা অনুযায়ী, দুই দলের নিজস্ব কর্মসূচি ও নীতির কারণে কিছু ভিন্নমত তৈরি হয়েছে।