ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত বছর পদ্মা থেকে বিপুল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছিল (Bangladesh Hilsa)। পর্যাপ্ত জোগানের ফলে বাংলাদেশি সাধারণ মানুষও কম দামে ইলিশ কিনতে পেরেছিলেন। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারেও সহজেই ইলিশ পৌঁছে গিয়েছিল। এ বছর দৃশ্যপট উল্টে গেছে — ইলিশ এখন প্রায় শুধুমাত্র উচ্চবিত্তদের পাতে পৌঁছাচ্ছে। মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে এই মাছ।
বর্তমান বাজারমূল্য কেমন (Bangladesh Hilsa)
বাংলাদেশে এখন ১ কেজি ইলিশের দাম ২৫০০–৩০০০ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রা) (Bangladesh Hilsa)। একই মাপের ইলিশ কলকাতায় বিক্রি হচ্ছে ১৫০০–১৭০০ টাকায় (ভারতীয় মুদ্রা)। তুলনা করলে দেখা যায় — বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের দাম ভারতের তুলনায় অনেক বেশি। বাংলাদেশে বর্তমানে ২ কেজি মাটনের দামও ইলিশের চেয়ে কম, যা পরিস্থিতির অস্বাভাবিকতা স্পষ্ট করে।
পর্যাপ্ত জোগান, কিন্তু! (Bangladesh Hilsa)
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত বছরের মতো এ বছরও পদ্মায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে।জোগান স্বাভাবিক ও পর্যাপ্ত থাকলেও বাজারে দাম আকাশছোঁয়া। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতিকে “দুর্ভাগ্যজনক” বলে আখ্যা দিয়েছেন। স্পষ্ট কারণ এখনও কেউ জানাতে পারছেন না।
মাছ ধরার সময়সীমায় পরিবর্তন
প্রতি বছরই ইলিশ ধরার একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। এ বছর প্রথমবার সেই সময়সীমা বদলানো হয় — ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ ছিল। লক্ষ্য ছিল জোগান বৃদ্ধি করা ও ইলিশের প্রজনন সুরক্ষা।ব্যবসায়ীদের মতে, এই পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না — দাম কমার কোনও লক্ষণ নেই।
ভারত ও বাংলাদেশের বাজারের বৈপরীত্য
আগে পদ্মার ইলিশ ভারতের বাজারে আসত, কিন্তু এ বছর এখনও আসেনি। বর্তমানে কলকাতা, মুম্বই, গুজরাটের বাজারে ইলিশ আসছে মূলত বঙ্গোপসাগর ও মায়ানমার থেকে। আমদানি করা মাছ সাধারণত স্থানীয় দামের তুলনায় বেশি হয় — কিন্তু এবার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। কলকাতায় ৫০০–৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা থেকে পাওয়া যাচ্ছে। গুজরাট ও মুম্বইতে দাম আরও সস্তা। বাংলাদেশে একই ওজনের ইলিশের দাম ১০০০ টাকার বেশি। প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে কেজি প্রতি ইলিশ ভারতের তুলনায় অন্তত ৪০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Weather Update: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা, আবার কি শুরু বৃষ্টি?
প্রতিক্রিয়া কি!
সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যে, নিজের দেশের মাছ নিজেরাই কিনতে পারছেন না।অনেকে অভিযোগ করছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং পাইকারি পর্যায়ে অতিরিক্ত মুনাফা আদায়ের জন্য দাম এত বেশি। সামাজিক মাধ্যমে “বাংলাদেশির পাতে ইলিশ নেই” বিষয়টি নিয়ে তীব্র আলোচনাও চলছে।